অনেক অল্পনা জল্পনা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক পর্ষদে পরিবর্তন এলো। মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশার সুমনের পরিবর্তে দায়িত্ব পেলেন যথাক্রমে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবং হান্নান সরকার। তবে গাজী আশরাফের প্রধান নির্বাচকের আসনে বসা অনেককেই অবাক করেছে।
শুধু সাধারণ বোর্ড কর্তা কিংবা ক্রিকেটপ্রেমী নয়, খালেদ মাহমুদ সুজনের মত প্রভাবশালী বোর্ড ডিরেক্টরও জানতেন না এই ব্যাপারে। সুজন বলেন, ‘এটা পুরোপুরি বিস্ময়কর একটা ব্যাপার আমার জন্য। অনেক সম্ভাব্য নাম শুনেছিলাম কিন্তু তাঁর নাম ছিল না সেখানে। এটা খারাপ লাগলো যে আমি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি কিছুই জানি না।’
অবশ্য ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস স্বীকার করেছেন যে, নিয়োগের ব্যাপারটি অত্যন্ত গোপনীয় ছিল। তিনি বলেন, ‘আশরাফ ভাইয়ের নাম মিটিংয়ে তোলা হয়েছিল। এরপর বোর্ড সভাপতি সিরাজ ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কথা বলার জন্য, আশরাফ ভাই রাজি হওয়ায় তাঁকে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে। এজন্যই সুজন জানতো না, অন্য বোর্ড ডিরেক্টররাও জানতো না।’
এসব নিয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন বোর্ড কর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয় তিনি শুধু সভাপতির পছন্দে এখানে এসেছেন। আগে তাঁকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, পরে আমাদের এপ্রুভাল নেয়া হয়েছে। তাছাড়া তিনি হয়তো বোর্ড ডিরেক্টরদের মতই সুবিধা পাবেন, আপনি নিশ্চিত হয়ে তাঁকে কেবল প্রধান নির্বাচক ভাবতে পারবেন না।’
বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী অবশ্য মেনে নিয়েছেন সেই কথা। তিনি বলেন, ‘আশরাফ ভাই তো আগেও বোর্ডে ছিলেন। উনার অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় অন্যান্য বোর্ড কর্তাদের মতই কিছু বিশেষ সুবিধা তিনি পাবেন। তবে এখন তাঁকে প্রধান নির্বাচক হিসেবেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
যদিও সাবেক ডিরেক্টর দেওয়ান শাফিউলের কণ্ঠে শোনা গিয়েছে ভিন্ন সুর। তাঁর মতে, কেউই ডিরেক্টরদের মত সুবিধা ভোগ করার অধিকার রাখে না। তিনি বলেন, ‘একজন ডিরেক্টর বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০০, ২০০ বা ৫০০ ডলার ভাতা পেতে পারেন। এটা নির্দিষ্ট করে সংবিধানে লেখা নেই, কিন্তু নির্বাচক বা অন্যদের ক্ষেত্রে এসব লেখা রয়েছে।’
শাফিউল আরো যোগ করেন, ‘তাই কেউ যদি বলে তিনি (আশরাফ) বোর্ড ডিরেক্টরের সুবিধা পাবেন তাহলে সেটা ভুল। কেননা তিনি চুক্তিবদ্ধ কর্মকর্তা, তিনি হয়তো চুক্তির মাধ্যমে যেকোনো সুবিধা নিতে পারেন কিন্তু এমনিতে বোর্ড ডিরেক্টরদের সমতুল্য হওয়া সম্ভব না।’