বিয়ে করলেই বিশ্বকাপ জয়ের নিশ্চয়তা!

কথায় বলে, ‘প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর হাত রয়েছে’। আর এই ধারণাকে আরো এক ধাপ উপরে নিয়ে গেল এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের ঘটনা। পুরুষদের বিশ্বকাপ জয়ের সাথে নারীর অবদান! একটু গোলমেলে মনে হতেই পারে।

না। অস্ট্রেলিয়ার কোচিং স্টাফে কোনো নারী সদস্য নেই। তবে কাকতালীয় ভাবে, এই বিশ্বকাপ জয়ের পথে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সহধর্মিণীর একটা যোগসূত্র রয়েছে। যদিও পুরোটাই কাকতালীয়। তবে ইতিহাসের সাথে সাদৃশ্যতা মিলিয়ে সেই কাকতাল ব্যাপারটা খুঁজতেই বা সমস্যা কোথায়?

দীর্ঘদিনের বান্ধবী বেকি বোস্টনকে ২০২২ সালের আগস্টে বিয়ে করেছিলেন প্যাট কামিন্স। আর তার ঠিক এক বছর পরেই তিনি জিতলেন বিশ্বকাপ শিরোপা। বিয়ের এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, এটাকে যে কেউ আশীর্বাদপুষ্ট ঘটনা বলেই চালিয়ে দিতে পারেন। তবে এমন ঘটনা কিন্তু এবারই প্রথম নয়।

২০১৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান বিয়ে করেছিলেন ঠিক তার এক বছর আগে ২০১৮ সালে। দীর্ঘদিনের বান্ধবী টারা রিজওয়ের সঙ্গে এ ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন সে বছরের নভেম্বরে। আর ঠিক পরের বছরে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ধোনি-সাক্ষীর প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এ যুগলের প্রেম, প্রীতির বন্ধন দেখা গিয়েছিল রূপালি পর্দাতেও। মজার ব্যাপার হলো, ২০১১ সালে যেবার ভারত বিশ্বকাপ জিতলো, তার ঠিক আগের বছরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এ জুটি। আর বিয়ের পর স্টেডিয়ামে বসেই ধোনির নায়কোচিত মুহূর্তের স্বাক্ষী হয়েছিলেন সাক্ষী।

এমন কাকতালীয় ঘটনায় প্যাট কামিন্সই অবশ্য প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নন। ২০০৩ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংও বিয়ে করেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর আগে, ২০০২ সালে। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন পন্টিং। আর বরের সেই সোনালি মুহূর্ত কাছ থেকে দেখেছিলেন সহধর্মিনী রিয়ানা জেনিফার কান্তোর।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link