লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করলেন সাই সুদর্শন। তার নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ১০৮ রান। তার সঙ্গে শুভমান গিল মাঠ ছাড়লেন ৯৩ রান নিয়ে। গুজরাট টাইটান্সের স্কোরবোর্ডে তখন বিনা উইকেটে ২০৫।
প্রতিপক্ষকে উইকেট দিলেন না। হাজার চেষ্টা করেও দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা দমাতে পারলেন না শুভমান গিল আর সাই সুদর্শনকে। এই দুইজনে মিলে লিখে ফেললেন এক অনবদ্য জয়ের গল্প। ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে ছেলের হাতের খেলনা বানিয়ে ফেললেন গুজরাট টাইটান্সের দুই ওপেনার।
গুজরাট টাইটান্স এই মুহূর্তে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে। এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের রীতিমত উড়ছে দলটি। ১২ ম্যাচ খেলে নয়টি ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে গুজরাট। এই কৃতীত্বের সিংহভাগ অংশীদার দলের দুই ওপেনার।
শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনের এক মজবুত জুটিতে ভর দিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গুজরাট। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসকে যেভাবে তারা উড়িয়ে দিল তা সত্যিই প্রশংসনীয়। রীতিমত পাখির পালকের মত এলোমলো হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে দিল্লি সইল নিদারুণ এক পরাজয়।
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সুদর্শন ও গিলের এই ২০৫-ই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এমনকি নিজেদের গড়া ২১০ রানের জুটিকেও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন গুজরাটের এই দুইজন ব্যাটার। তবে সে রেকর্ড ভাঙতে না পারার আক্ষেপ গিলরা চাইলে দিল্লির উপর চাপিয়ে দিতেই পারে।
তবে এমন দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের পরে আক্ষেপ নয়, স্রেফ প্রশংসাই আর প্রশান্তিই যেন ছুঁয়ে যাচ্ছে শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনকে। প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুলের করা সেঞ্চুরির ভারিক্কি কমিয়ে দিলেন তারা দুইজনে তুড়ি মেরে। এমন দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর দিয়ে দ্বিতীয় শিরোপার অন্বেষণ চাইলেই চালাতে পারে গুজরাট।
অন্যদিকে সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল দুইজনেই রয়েছেন কমলা টুপির দৌড়ে। ৬০৯ রান নিয়ে এই মুহূর্তে টুপি নিজের মাথায় রেখেছেন সুদর্শন। ঠিক পেছনে থাকা গিলের রান ৫৯৪। এই স্বাস্থ্যকর দ্বৈরথের সমাপ্তি নিশ্চয়ই চাইবে না গুজরাট। এই লড়াইয়ের শেষটায় নিশ্চয়ই শিরোপা উৎসব করতে চায় গুজরাট টাইটান্স।