বিস্ময়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার মত এক ক্যাচ। গ্লেন ফিলিপস ইউ বিউটি! গ্লেন ফিলিপস ইউ আর অ্যা বিস্ট! যে ক্যাচটা তিনি ধরলেন, তাকে কি বিশেষণে আটকে রাখবেন আপনি? ওমন ক্যাচ ক্রিকেট দুনিয়াতে কেই বা দেখেছে কখন।
জুভেন্টাসের বিপক্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বাই-সাইকেল কিক থেকে গোল- সেটা নিয়ে পুরো বিশ্ব বিস্ময়ের একটা ঘোরে আটকে ছিল বহুদিন। এবার ক্রিকেট দুনিয়াকে ওমন একটা ঘোরের জগতে হারিয়ে যেতে বাধ্য করলেন গ্লেন ফিলিপস।
শুভমান গিলের ওমন পাওয়ারফুল শট যে কেউ ক্যাচ ধরতে পারে, নিশ্চিত করে বলা যায়, কেউ ভাবেনি তা। মিশেল স্যান্টনার হয়ত স্বপ্নতেও এমন কিছুর কথা চিন্তা করেননি। উইকেটের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। শর্ট মিড অফ না ঠিক, তবে আশেপাশের অঞ্চলে ফিল্ডিং করছিলেন গ্লেন সুপারম্যান ফিলিপস।
ইনসাইড আউট করে ফিলিপসের মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করতে চাইলেন শুভমান গিল। তিনি ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেননি, একটা লোক শূন্যে ভেসে উঠবে। হাওয়াতেই পেছনের দিকে এলিয়ে যাবে। যেন ৬৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কেউ বাতাসে ভেসে সাইকেল চালাচ্ছে।
তারপর শরীরের বেশ পেছনে চলে যাওয়া বলটাকে তালুবন্দী করলেন ফিলিপস দ্য ফ্লাইং ফ্যালকন। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে আঘাত করবার কোন সুযোগই পাচ্ছিলেন না নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। তাইতো ১০ শতাংশ সুযোগকে ১০০ শতাংশ বানালেন গ্লেন ফিলিপস।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগেও দুইটি চোখ ধাঁধানো ক্যাচ ধরেছেন ফিলিপস। মোহাম্মদ রিজওয়ানের পর বিরাট কোহলিকে তিনি আটকে দিয়েছিলেন পয়েন্ট অঞ্চলে। কিন্তু সেই দু’টো ক্যাচও যেন এই ক্যাচের সামনে নস্যি। অভাবনীয়, অকল্পনীয়, অবাস্তব!
গ্লেন ফিলিপস এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিল্ডিংয়ের একটা আলাদা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে দিলেন। নিউটনের অভিকর্ষজ ত্বরণের সূত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিলেন কিউই এই ফিল্ডার। মানুষ হয়েও পাখির মত উড়ে বেড়ালেন। বাজপাখির মত ছোঁ মেরে হাতের মুঠোয় নিয়েছেন এক একটি ক্যাচ। অতিমানবীয় ফিল্ডিং নৈপুন্য।