দুয়ারে যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তখনই শুভ দিনের আশ্বাস যোগালেন শুভমান গিল। বিরাট কোহলির জুতো পায়ে দিতে সবাই পারে না। কিন্তু, পেরেছেন শুভমান গিল। ব্যাট হাতেই জানান দিলেন নিজের উপস্থিতি। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠতে ভারতীয় ক্রিকেটের যুবরাজের ব্যাট প্রস্তুত আরেকবার!
বিষয়টা এমন না যে শুভমান গিল রানের মধ্যে নেই, বা রানের মধ্যে ছিলেন না। কিন্তু, বাকিদের মত মারকাটারি বিষয়টা তাঁর মধ্যে তুলনামূলক কম। নাগপুরের ভিষণ ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও তিনি খেলেছেন বেশ রয়েসয়ে।
৯৬ বলে খেলেন ৮৭ রানের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ৯০-এর মত। বোর্ডে বড় কোনো রান তাড়া করার লক্ষ্য ছিল না। তাই, গিলের ইনিংসটা দোষের কিছু নয়। তবে, সেঞ্চুরি করে আসাটা দরকার ছিল, আত্মবিশ্বাসটাও আরও চাঙ্গা হয়ে উঠত।
শ্রেয়াস আইয়ার যেমন এক প্রান্তে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করেছেন, অন্যদিকে শুভমান ব্যাট চালিয়েছেন শান্ত নদীর মত। সেই নদীর বাকে বাকে কোনো অস্থিরতা ছিল না। এটাও মনে রাখা দরকার যে – একটু পরিবর্তিতত পরিস্থিতে ব্যাটিং করেছেন তিনি।
ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে তিন নম্বরে খেলেন সাধারণত বিরাট কোহলি। তাঁর ইনজুরির জন্য তিনে খেলতে বাধ্য হন গিল। গিল অবশ্য টেস্টে তিন নম্বরেই খেলেন। ফলে তাঁকে একদম অনভ্যস্থ বলা যায় না।
তবে, বিরাট কোহলির জুতো পায়ে গলানো সহজ নয়। সেই কঠিন কাজটাই করলেন গিল। তাকে পাশ মার্ক দিতেই হচ্ছে। তাঁর ব্যাটে ভর করেই টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রেষ্ঠত্ব টিকে থাকল ভারতের!