অভিষেকেই জয়ের দেখা পেলেন রিশাদ হোসেন। সে জয়ে বল হাতে তিনিও রেখেছেন অবদান। হোবার্ট হারিকেন্সের জার্সিতে খেলতে নেমে, স্মরণীয় এক সময়ই পার করলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার।
অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশের আগের আসরেই খেলার কথা ছিল রিশাদ হোসেনের। কিন্তু ছাড়পত্র ইস্যুতে সেবার আর খেলা হয়নি। কিন্তু এদফা তাকে পূর্ণ ছাড় দেওয়া হল তাকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থাকা সত্ত্বেও তাকে বিগ ব্যাশে খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে ছুড়ে দিয়ে দৃঢ়তার সাথেই প্রথম বাঁধা টপকে গেছেন রিশাদ হোসেন। হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে এদিন তিনি কোন উইকেটের দেখা পাননি। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুন্সিয়ানা তিনি দেখিয়েছেন বটে। তার বিরুদ্ধে স্রেফ একটি বাউন্ডারি আদায় করতে পেরেছেন সিডনি থান্ডার্সের ব্যাটার।

তবে সেই বাউন্ডারির বলে উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অভাগা রিশাদ থেকেছেন উইকেট বঞ্চিত। শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ উঠলেও তা খুঁজে পায়নি কোন ফিল্ডারের হাত। এদিন হোবার্টের জার্সিতে তিন ওভার বোলিং করেছেন রিশাদ হোসেন। নিজের ঝুলিতে থাকা অস্ত্রের মিশেলে স্রেফ ১৮ রান খরচা করেছেন তিনি।
তার আঁটসাঁট বোলিংয়ের কল্যাণে শেষ অবধি থান্ডার্সকে ১৮০ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স। এদিন অবশ্য ব্যাট হাতে নিজের আগ্রাসন দেখানোর সুযোগ পাননি রিশাদ। তবে এবারের পুরো মৌসুমেই তিনি থাকছেন হোবার্ট শিবিরে। সুতরাং ব্যাট হাতেও ঝলক দেখানোর সুযোগ তার চলেই আসবে।
উইকেট না পেলেও অভিষেকটা বেশ ভালই কেটেছে রিশাদের। অস্ট্রেলিয়ার বিশাল মাঠে, স্রেফ ৬.০০ ইকোনমিতে রান বিলানো প্রশংসনীয় বটে। তার এমন কৃপণ বোলিংয়ের ফলশ্রুতিতে শেষ অবধি চার উইকেটে জয় পেয়েছে হোবার্ট হারিকেন্স। রিশাদকে সাথে নিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের শুভসূচনা হল এবারের আসরে।












