টানা তিন ছক্কা হাঁকালেন গ্রাহাম ক্লার্ক। বল আকাশে উড়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যাচ্ছে। তরুণ মাহফুজুর রহমান রাব্বি তাকিয়ে দেখলেন স্রেফ। সেই ওভারে রাব্বিকে হজম করতে হল ২৭ রান। যার অধিকাংশ রানই এসেছে ক্লার্কের ব্যাট থেকে।
গ্রাহাম ক্লার্ক, ইংলিশ এই ক্রিকেটারের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা রয়েছে খুব কম। দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট খেলেছেন তিনি এর আগে। তবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত গ্রাহাম ক্লার্ক। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জমকালো দুনিয়াতে তিনি প্রসিদ্ধ নন। তবুও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তিন ব্যাট হাতে দেখাচ্ছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে অনবদ্য এক ইনিংস খেললেন ইংলিশ এই ব্যাটার। হাঁকিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চট্টগ্রাম কিংসের জার্সি গায়ে ধারাবাহিকভাবেই পারফরম করে যাচ্ছেন ক্লার্ক। এখন অবধি চার ইনিংস ২৪০ রান নিয়েছেন তিনি চট্টগ্রামের পক্ষে। এখানে প্রশংসা অবশ্যই গ্রাহাম ক্লার্কের প্রাপ্য। কিন্তু চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্চাইজিও খানিক বাহবা পেতেই পারে।
খেলোয়াড় স্কাউট করাও একটা বড় গুণ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অধিকাংশ দলই এই স্কাউটিংয়ে দেয় না মনোযোগ। কোনমতে স্রেফ ভিনদেশি বলেই জায়গা পেয়ে যায় বিপিএলের দলে। যেমন ঢাকার দলে খেলা জিয়েন পিয়েরে কোৎজে। যার টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১৮! এমন খেলোয়াড়রা কোনভাবেই আসলে দেশের একমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে মান বাড়ায় না।
বিপিএলে ভিনদেশি ক্রিকেটারদের খুব একটা আনাগোনা ইদানিং ঘটে না। বিপিএলের সময় বিশ্বের চারিপাশে চলে আরও বেশ কিছু ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। আর্থিক লাভবান হওয়ার নেশায় অধিকাংশ খেলোয়াড়রাই বিপিএলকে অগ্রাহ্য করেন। তাইতো মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়দের অভাবে ভোগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
সেই অভাব পূরণের জন্যে গ্রাহাম ক্লার্করা আদর্শ হতে পারেন। সেদিক থেকে বাকি ফ্রাঞ্চাইজিদের স্কাউটিং হতে হবে ক্যালকুলেটিভ। মিডিওকার খেলোয়াড় বেশ কিছু রয়েছে আমাদের দেশেই। ভিনদেশ থেকে আরও মিডিওকার খেলোয়াড় উড়িয়ে আনার কোন মানে নেই। চট্টগ্রাম ও গ্রাহাম মিলে যেন বাকিদের জন্যে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করলেন। কার্যকর বিদেশি চাইলেই যুক্ত করা যায় দলের সাথে। চোখ-কান খোলা রাখা চাই।