ট্রাজিক হিরো ডেভিড মিলার

কিলার মিলার – ডেভিড মিলারকে চেনানোর সবচেয়ে সহজ উপায় বোধহয় এ নামে ডাকা। তবে তাঁর কিলার রূপ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি মৌসুমে দেখা যায়নি এতদিন। ফলে সংশয় জেগেছিল তাঁকে নিয়ে, কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নিজের সেরা ছন্দে ফিরলেন তিনি; দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দেখিয়েছেন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী।

এদিন স্রেফ ২৩ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার, তাতেই করেছেন ৫৫ রান। ছয়টি চারের পাশাপাশি তিন ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে স্ট্রাইক রেট ২৪০! এমন পারফরম্যান্সও অবশ্য যথেষ্ট হয়নি দলের জয়ের জন্য, তাঁর বীরত্বকে ম্লান করে দিয়ে শেষপর্যন্ত তিন রানে হেরেছে গুজরাট টাইটান্স। তাই তো ট্রাজিক হিরো হয়েই থাকতে হলো তাঁকে।

৯৫ রানে এক উইকেট থেকে ৯৮ রানে তিন উইকেটের দলে পরিণত হয়েছিল গুজরাট; ঠিক সেসময় বাইশ গজে আসেন এই বাঁ-হাতি। খানিক পরে সেট ব্যাটার সাই সুদর্শন ফিরে গেলে চাপ আরো বেড়ে যায়। কিন্তু মুহূর্তের মাঝে সব চাপ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি; কাউন্টার অ্যাটাকিং ক্রিকেটের সাহায্যে জয়ের পথে ধরে রেখেছিলেন দলকে।

অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেটের পতন ঘটলেও তাঁকে টলাতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। একের পর এক বাউন্ডারিতে লড়াই জমিয়ে তুলেন তিনি, আনরিখ নর্কিয়ার এক ওভারেই আদায় করেন ২৪ রান। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণ হয় ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি; আইপিএলের চলমান আসরে এটাই তাঁর প্রথম অর্ধশতক।

যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই হার্ডহিটার, মুকেশ কুমারের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তাই তো আক্ষেপ নিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। এছাড়া শেষদিকে রশিদ খান সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন, মিলারের বিদায়ের পর তিনি ছোট কিন্তু কার্যকরী ক্যামিও খেলেছিলেন। তবে বিশতম ওভারে উনিশ রানের কঠিন সমীকরণ মেলানো সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে।

যদিও প্রোটিয়া তারকার ফর্মে ফেরা পরাজয়ের মাঝেও কিছুটা স্বস্তি হবে টাইটান্স পরিবারকে। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে আগামী দিনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের, আর সেসময় তিনি ফর্মে থাকলে সেই কঠিন পরীক্ষা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে নিশ্চয়ই। এখন দেখার বিষয়, দিল্লির বিপক্ষে ইনিংসের অনুপ্রেরণায় ধারাবাহিক রান মেশিন হয়ে উঠতে পারে কি না তাঁর ব্যাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link