স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ না থাকলেও যে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতা যায়, আইপিএলে তাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তবে মুম্বাইয়ের জয়ে দাগ কেটে বসে ‘নো’ বল। তাই তো দলটির অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মনে করেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নো বল করা একটি ‘ক্রাইম’।
আইপিএলে জমে উঠেছে প্লে অফের লড়াই। টুর্নামেন্টের শুরু দিকে টানা ম্যাচ হেরে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল হার্দিকের মুম্বাই, তৈরি হয়েছিল প্লে অফ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনাও। তারপরই টানা ছয় ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে উঠে আসে আইপিএলের পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
সেই ধারা বজায় রাখতে ওয়াংখেড়েতে গুজরাটের বিপক্ষে খেলতে নামে মুম্বাই। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। তবে সূর্যকুমার যাদব এবং উইল জ্যাকসের ৭১ রানের জুটি তে কিছুটা আশার আলো দেখা যায়। শেষ দিকে করবিন বোশের ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংসে ভড় করে স্কোরাবোর্ডে ১৫৫ রানের সম্মানজনক পুঁজি পায় দলটি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় তুলতে পারতো গুজরাট টাইটানস। তবে মাত্র ৬ রানেই ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। তারপর আবারো দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক শুভমান গিল ও জস বাটলার। তবে পুরো ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যায় বৃষ্টির হানায়।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ পরবর্তীতে শুরু হলে জাসপ্রিত বুমরার বোলিং তোপে মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে গুজরাট,আবারো ম্যাচে ফিরে আসে মুম্বাই।
ডিএল ম্যাথডে গুজরাটের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৫ রান। রাহুল তেওয়াতিয়া এবং জেরাল্ড কোয়েৎজে দুটি বাউন্ডারি আদায় করে নিলে ম্যাচে শুরু হয় চরম নাটকীয়তা। তবে পরের বলেই ওভারস্টেপিংয়ে ‘নো’ বল করে বসেন দীপক চাহার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ‘নো’ বল মুম্বাইয়ের হাত থেকে ম্যাচটি একেবারে ছিনিয়ে নেয়।
এর আগে মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হার্দিক ম্যাচের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে ২ দুটি ‘নো’ বল করেছিলেন। ৬ বলের ওভার শেষ করতে তার লেগেছিলো ১১ টি ডেলিভারি।
তাইতো ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে নিজেদের ‘নো’ বল গুলোকেই দায়ী করলেন হার্দিক। ম্যাচ শেষে হার্দিক বলেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নো বল করা একটি ক্রাইম, ক্রিকেটে ১ রানের ব্যবধানে সবকিছুই হওয়া সম্ভব, তবে ছেলেদের নিয়ে আমি খুশি ওরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে।’