হার্দিক আসলেন, হাসলেন, হাসালেন!

সেদিনও আহমেদাবাদে রান করেছিলেন কোহলি, ছন্দে ছিলেন লোকেশ রাহুল। ছিল না কেবল একজন হার্দিক পান্ডিয়া। দুবাইয়ে তিনি আছেন, আজ শেষ হাসি ভারতের তো হবেই!

একটা ওভারে পাঁচটা ডট দিলেন। অজি পেসার নাথান এলিসের সেই ওভারটা শেষ হওয়া মাত্রই চালকের আসনে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তাহলে কি তীরে এসে তরী ডোবাবেন হার্দিক পান্ডিয়া? নাহ, তা কি করে হয়, তিনি যে অন্য ধাঁতুর গড়া।

অ্যাডাম জাম্পার শেষ ওভারের প্রথম চারটা বল থেকে আসল মাত্র তিনটা রান। দেখে শুনে খেললেন পান্ডিয়া। রান নিতে গিয়ে একটু হোঁচটও খেলেন। কিন্ত, ভারতকে হোঁচট খেতে দেননি তিনি। শেষ দুইটা বল স্লটে পেলেন।

ব্যাস, লং অফ দিয়ে ছক্কা। টানা দুইবার। যেন টানা দুটো ছুড়ি গিয়ে বিঁধল অস্ট্রেলিয়ার বুকে। সেই অস্ট্রেলিয়া, যাদের সামনে ২০২৩ সালের আহমেদাবাদের ফাইনালে দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। পারবে কি করে, সেদিন তো শেষের দিকে রান বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য হার্দিক পান্ডিয়া ছিলেন না।

৪৮ তম ওভারে আরেকটা চার হাঁকালেন মিড অন দিয়ে। সেই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই ভাবে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট। এর আগে অবশ্য কাজের কাজটা হয়ে গেছে। ২৪ বলে করে গেলেন ২৮ রান। এটাকেই বলে ইমপ্যাক্ট। ২০২৩ সালের ফাইনালে কেবল এই ইমপ্যাক্টটাই ছিল না ভারতের।

সেদিনও আহমেদাবাদে রান করেছিলেন কোহলি, ছন্দে ছিলেন লোকেশ রাহুল। ছিল না কেবল একজন হার্দিক পান্ডিয়া। দুবাইয়ে তিনি আছেন, আজ শেষ হাসি ভারতের তো হবেই!

Share via
Copy link