বড় শিক্ষাটা ফাইনালেই পেয়েছে পাকিস্তান

শিক্ষার শেষ নেই। হোক সেটা জীবন কিংবা খেলার মাঠ। পাকিস্তান ক্রিকেট দল যেমন, বড় শিক্ষাটা পেল বিশ্বকাপের ফাইনালে।

মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হেরে দ্বিতীয় বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে বঞ্চিত হয় পাকিস্তান। দলের এই হারের পেছনে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে কিছু ভুলের কারণে যথেষ্ট রান তুলতে না পারাকেই দায়ী করছেন পাকিস্তানের পেস বোলার হারিস রউফ।

ম্যাচ পরবর্তী এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রউফ বলেন যে, ‘১৩৮ রান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাদের ব্যাটসম্যানদের কিছু ভুলের কারণে তারা স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারে নি। দলের রান যদি ১৫০ এর আশেপাশে হত তবে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম ও হতে পারত।’

এছাড়া রউফ আরও বলেন, ‘যখন আপনি ছোট টার্গেট ডিফেন্ড করবেন আপনাকে বোলিংয়ের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হতে হবে। আমরাও সেটাই হতে চেষ্টা করেছি,যার ফলে বল বেশি সামনে করেছি,উইকেট পাওয়ার জন্য।’

রউফ আরও যোগ করেন, ‘শাহীন আফ্রিদির ইনজুরি ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। শেষের দিকে শাহীনের দুই ওভার বলের গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল!’

শাহীন আফ্রিদি ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুকের দারুণ এক ক্যাচ নেয়ার পথে হাঁটুর ইনজুরিতে পরেন। যার ফলে ইনিংসের শেষ দিকে তার নির্ধারিত বোলিং কোটা শেষ করতে পারে নি। হারিস রউফ সেটাই মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘শাহীন ওর বল গুলো করতে পারলেও হয়ত ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। ওর ইনজুরিও আমাদেরকে সাহায্য করেনি!’

তবে নিজেদের ভুলের পাশাপাশি পাকিস্তান দল হিসেবে এই বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু পেয়েছে। এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছে পাকিস্তান, জানান রউফ।

রউফ বলেন, ‘ব্যক্তিগত এবং দলগত ভাবে আমাদের এ বিশ্বকাপ থেকে অনেক প্রাপ্তি আছে। দল হিসেবে আমরা বেশ কিছু কঠিন সমীকরণ এর সামনে দাঁড়িয়েছিলাম ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে আমরা সেমিফাইনালে উঠেছিলাম। তাছাড়া সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারানোতে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছিল।’

রউফ আরও বলেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই হারার পর হয়ত কেউই বিশ্বাস করেনি আমরা ফাইনাল খেলব। কিন্তু আমরা সেখান থেকে কামব্যাক করে এসে ফাইনাল খেলেছি। এটা দলগতভাবে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে আমরা যেকোন খারাপ পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসতে পারি!’

ফাইনালে পাকিস্তানের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন হারিস রউফ। রউফ ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার এবং ফিল সল্টকে আউট করার পাশাপাশি  তার চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দেন। উইকেট নেন দু’টি। নি:সন্দেহে পাকিস্তানের সেরা পারফরমার ছিলেন তিনি। যদিও, তাতে পাকিস্তানের ভাগ্য বদলায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link