ক্রিকেটের জগতে হারিস রউফের উত্থানটা ঘটেছিল বিগ ব্যাশ দিয়ে; ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নয় বরং ভিনদেশী ফ্রাঞ্চাইজি লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তখনই বোঝা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বোলিং করা কতটা পছন্দ তাঁর। পাকিস্তানের চলতি অস্ট্রেলিয়া সফর সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে বারবার।
প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া মাঝারি সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে অজিরা যখন সহজ ভঙ্গিতে ছুটছিল তখন রুদ্রমূর্তি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই পেসার। স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন দলকে। যদিও শেষমেশ জেতাতে পারেননি। সেজন্যই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরো ভয়ংকর, আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন তিনি।
এদিন আট ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন এই ডান-হাতি; তাও আবার মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে। তাঁর এমন আগ্রাসী বোলিংয়ের সুবাদে অল্প রানেই গুটিয়ে গিয়েছে সফরকারীরা।
শুরুটা জস ইংলিশকে দিয়ে, হারিস রউফের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ইংলিশ। লেগ সাইড ঘেঁষা ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন ইংলিশ। তবে লাবুশানের ক্ষেত্রে বলের লাইন ছিল একেবারে টেস্ট ঘরানার, অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরের বল ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়েছে কিপারের গ্লাভসে।
প্রায় একই লাইন আর লেন্থ ধরে রেখে অ্যারন হার্ডিকেও শিকার করেছেন মি.১৫০। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বেলায় অবশ্য লাইন একই ছিল, তবে লেন্থ আরো শর্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। পুল খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন ম্যাক্সি। সবশেষে আগের ম্যাচের নায়ক প্যাট কামিন্স ধরা পড়েন তাঁর ফাঁদে, পূর্ণ হয় ফাইফার – নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থে ধারাবাহিক বোলিংয়ের পুরষ্কার পান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়টা একদমই ভাল ছিল না এই তারকার জন্য, সেরা ছন্দের কাছাকাছিও ছিলেন না। তবে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য বিশেষভাবে দলে ফেরানো হয় তাঁকে, সেই ভরসার প্রতিদান সবচেয়ে সেরা উপায়ে দিলেন তিনি। এই আত্মবিশ্বাস তাঁর ক্যারিয়ারে এনে দিতে পারে নতুন শুরু।