পাকিস্তানের বোলিংয়ের একলা সৈনিক

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ একসময় ছিল দুনিয়ার আতঙ্ক। ওয়াসিম-ওয়াকারদের সময় থেকে শুরু করে শোয়েব আখতারের দাপট—সবটাই যেন কেবলই স্মৃতির পাতায় বন্দি। এখন সেই ঐতিহ্য বহন করছেন একজন-দুজন মাত্র, তাদের মাঝেই অন্যতম নাম হারিস রউফ। কিন্তু ক্রিকেট তো দলীয় খেলা। একা লড়ে কতটুকুই বা করা যায়?

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ এখন যেন এক হতাশার প্রতিচ্ছবি। একসময় যে পেস ব্যাটারি প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরাতো, সেখানে এখন শূন্যতার দীর্ঘশ্বাস। অনেক ‘নেই’-এর মাঝে যা একটু আলোর রেখা, তার নাম হারিস রউফ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২০ রান দিয়েও পাকিস্তানের বোলিংয়ের যা একটু মান বাঁচালেন তিনিই।

নিউজিল্যান্ড ১০৮ রান তোলার পথেই যেন ম্যাচটা শেষ করে দেয়। মাত্র দু’টি উইকেট হারিয়ে শক্ত ভিত গড়ে তোলে তারা, আর সেই দুই উইকেটই এসেছিল হারিস রউফের হাত ধরে। নিজের চার ওভারে ২৭ রান খরচায় তুলে নিলেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। যখন বাকি বোলাররা একের পর এক মার খাচ্ছেন, ওভারপ্রতি ১২ রান করে দিচ্ছেন, তখন হারিস রউফ ছিলেন অন্য মেজাজে। তার ইকোনমি রেট ওভারপ্রতি সাতের নিচে, যা দলের অন্যদের তুলনায় ঈর্ষণীয়।

আসলে, সেনা কন্ডিশনে হারিস রউফ অন্যরকম বোলার হয়ে ওঠেন। পিচে যদি বাউন্স থাকে, যদি একটু গতি থাকে, তাহলে তিনি যেন এক নতুন অস্ত্র হয়ে ওঠেন। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররাও তার পেস, লাইন-লেংথের সামনে ধুঁকেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, একা রউফের জাদুতে ম্যাচ জেতানো যায় না। যদি অন্য বোলাররা তাকে সামান্যতম সাহায্য করতে পারতেন, তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রই বদলে যেতে পারত।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ একসময় ছিল দুনিয়ার আতঙ্ক। ওয়াসিম-ওয়াকারদের সময় থেকে শুরু করে শোয়েব আখতারের দাপট—সবটাই যেন কেবলই স্মৃতির পাতায় বন্দি। এখন সেই ঐতিহ্য বহন করছেন একজন-দুজন মাত্র, তাদের মাঝেই অন্যতম নাম হারিস রউফ। কিন্তু ক্রিকেট তো দলীয় খেলা। একা লড়ে কতটুকুই বা করা যায়?

Share via
Copy link