ঘরের দুয়ারে বিশ্বকাপ। দল গোছাতে ব্যস্ত প্রতিটি দেশ। ব্যতিক্রম নয় পাকিস্তানও। কারা করবেন দেশের প্রতিনিধিত্ব? তা জানতে উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে পাকিস্তানের দর্শকরাও। এর মাঝেই শোনা যাচ্ছে বাবর আজমের সেই দলে জায়গা হারাতে পারেন হারিস রউফ।
অনেকটা রোলার কোস্টার রাইডের মত ছিল পাকিস্তানের গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আবেগ আর উত্তেজনার মিশ্রণ ছিল সেই বিশ্বকাপে। তবে দিন শেষে ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় তারা। তারপর থেকে মোট ১৬ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। তাই তো ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল সাজাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
যেখানে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান আর শাহীন আফ্রিদি তাঁদের জায়গা ইতিমধ্যেই পাকা করে ফেলেছেন। তবে বাকি জায়গাগুলো নিয়ে চলছে লড়াই। ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খান আর উদীয়মান তরুণ জামান খানকে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।
তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাকিস্তান দলে আবারো দেখা যেতে পারে ইমাদ ওয়াসিমকে। সর্বশেষ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে নজর কাড়া পারফরম্যান্স দেখান এই অলরাউন্ডার। অবসর ভেঙে ফেরা আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির পেস ইউনিটে যোগাবেন বাড়তি শক্তি। শাহীন আফ্রিদির সাথে গতির ঝড় তুলতে অপেক্ষায় আছেন আমিরও।
আবার আগামী ম্যাচগুলোতে সাইম আইয়ুব এবং আজম খানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের জন্য একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই হতে পারে জাতীয় দলে স্থায়ী হওয়ার টিকিট। তবে অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়ে গেল দলে হারিস রউফের সংযুক্তি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্বকাপে তাকে দেখার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। তাই তো দিন যতই যাচ্ছে, অধিনায়ক বাবরের জন্য দল গোছানো ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। চুক্তভিত্তিক ইস্যুতে হারিস রউফকে বাদ দেয়া হবে কিনা সেই দ্বিধায় ভুগছেন বাবর।
তবে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের সংমিশ্রণে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করবে পাকিস্তান। বিশ্বের যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই আতঙ্কের কারণ হতে পারে সে দল। কেননা পাকিস্তান চাইবে না গত বিশ্বকাপের শোক আবার নেমে আসুক তাঁদের শিবিরে।