৩৬০° ব্যাটার – শব্দটা শুনলেই নিশ্চয়ই সদা হাস্যোজ্জ্বল প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সের কথা মাথায় আসে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট অনুসরণ করা মানুষদের মনের পর্দায় বোধহয় আরেকটা চেহারাও উঁকি মারছে।
তিনি অবশ্য এই উপমহাদেশেরই, ভারতের সুরিয়াকুমার যাদব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই উইকেটের চারদিকে শটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন এই ব্যাটার।
সুরিয়াকুমার যাদবের আরেক উপমহাদেশীয় ব্যাটসম্যানের নামও উচ্চারিত হচ্ছে মাঝে মাঝে। তিনি পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান, মোহাম্মদ হারিস। আন-অর্থোডক্স শট খেলার কারণে সমর্থকদের কাছে তিনি পাকিস্তানের ৩৬০° হয়ে উঠছেন। হারিস নিজেও ৩৬০° ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
৩৬০° মানেই এবিডি ভিলিয়ার্স, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সুরিয়াকুমার যাদবের নামও। তবে এদের কারো সাথেই নিজের তুলনা দিতে আগ্রহী নন মোহাম্মদ হারিস।
স্থানীয় এক ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘এখনি আমাদের দুজনের (সুরিয়া ও হারিস) মধ্যে তুলনা করা একদমই উচিত নয়। সুরিয়ার বয়স প্রায় ৩২/৩৩ বছর, যেখানে আমি মাত্র বাইশ বছরের তরুণ। ওই পর্যায়ে যেতে আমার এখনো অনেক কাজ বাকি।’
এই উদীয়মান ক্রিকেটার আরো যোগ করেন, ‘সুরিয়াকুমারের নিজস্ব লেভেল আছে, ডি ভিলিয়ার্সের নিজস্ব লেভেল ছিল এবং আমিও আমার নিজের লেভেলে আছি। সত্যি বলতে আমিও তাঁদের মত একজন ৩৬০° ক্রিকেটার হিসাবে নিজের একটি নাম তৈরি করতে চাই, তবে তাঁদের সঙ্গে নিজেকে মেলাবো না।’
বর্তমানে ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলতে শ্রীলঙ্কায় আছেন মোহাম্মদ হারিস। পাকিস্তান এ দলের নেতৃত্বভারও তাঁর কাঁধে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে হারিসের দল; সেই সাথে ভরসার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি।
তবে, আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে হারিসের সামনে; ভারত এ দলের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউট পর্বে যেতে পারবে পাকিস্তান এ দল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে উত্তেজনা আর কিছু করে দেখানোর তাড়না বয়ে বেড়ায়।
সম্প্রতি এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের অজুহাতে সেই উত্তেজনা আরো বেড়েছে। তবে মোহাম্মদ হারিসকে এসব কিছুই ছুঁতে পারেনি, তাঁর কাছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ অন্য ম্যাচের মতই।
মোহাম্মদ হারিস বলেন, ‘সব দলই আমাদের কাছে সমান। আমরা ইমার্জিং এশিয়া কাপের পুরো আসর খেলতে এসেছি, শুধু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি নয়। তাই অন্য দেশের বিপক্ষে যেভাবে খেলি তাদের বিপক্ষেও সেভাবেই খেলবো।’
দুই দলই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচের দুইটি জিতে নিয়েছে; তাই বুধবারের ইন্দো-পাক দ্বৈরথে যে জিতবে সেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলবে সেমিফাইনালে। আগের ম্যাচে আরব আমিরাত এ দলের সাথে হাফসেঞ্চুরি করা হারিস এই ম্যাচেও নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন।