প্রথমবারের জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, আনন্দময় অনুভূতির রেশ কাটতে না কাটতেই পর পর দুই ম্যাচে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা – সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কা যখন মাথার উপরে, ইংল্যান্ডের পিঠ তখন দেয়াল ঠেকেছে।
কাপ্তানকেই দায়িত্ব নিতে হতো, বুক চিতিয়ে সবার আগে এসে প্রতিরোধ গড়তে হতো; হ্যারি ব্রুক তাই করেছেন। দুর্ধর্ষ একটা ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন জয়ের স্বাদ। এরই মধ্য দিয়ে ৩৪৮ দিন এবং ১৪ ম্যাচ পর ওয়ানডেতে হারলো অস্ট্রেলিয়া।
রঙিন পোশাকের ক্যারিয়ারে আগে কখনো সেঞ্চুরি না হাঁকানো এই ব্যাটার এদিন করেছেন ৯৪ বলে ১১০ রান। অফ সাইডে কভার ড্রাইভ কিংবা স্ট্রেইট ড্রাইভ যেভাবে খেলেছেন তিনি সেটা পুলকিত করেছে সবাইকে।
আর তাঁর এমন পারফরম্যান্সে ভর করে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪৬ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড। ৩০৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া; নতুন বল হাতে বিধ্বংসী রূপে হাজির মিচেল স্টার্ক, ১১ রানেই নেই দুই উইকেট।
হ্যাটট্রিক পরাজয়ের সম্ভাবনা তখন আকাশে মেঘ হয়ে জমতে শুরু করেছিল। আর তখনি স্বস্তির হাওয়া হয়ে এসেছেন এই ইংলিশ তারকা।
উইল জ্যাকসকে নিয়ে ১৫৬ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েছেন তিনি। দুজনে সমানতালে শাসন করেছেন অজি বোলারদের, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও দখলে নিয়েছেন এরই মধ্য দিয়ে।
মাঝের সময়ে পর পর দুই উইকেটের পতন ঘটলেও ‘ক্যাপ্টেন’ ব্রুক দৃঢ় হাতে লাগাম ধরে রেখেছিলেন। খানিক পরে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।
এর আগে দলগত প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ জমা করতে সক্ষম হয়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ট্রাভিস হেড না থাকলেও স্টিভ স্মিথ ভিত্তি গড়েন দেন এদিন, তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান।
লোয়ার মিডল অর্ডারে আগের ম্যাচের নায়ক অ্যালেক্স ক্যারি করেন ৭৭ রান, সেই সঙ্গে অ্যারন হার্ডি খেলেন ৪৪ রানের ক্যামিও – তাতেই তিনশর গন্ডি পেরোয় দলটি।
যদিও জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট হয়নি, ইংরেজ কাপ্তানের পারফরম্যান্সে ম্লান হয়েছে সবকিছু। এর ফলে ইংল্যান্ডের সিরিজের জয়ের আশাও টিকে রইলো।