এবার আর কনকাশন সাব নন। কিংবা খোঁচা দিয়ে কেউ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারও বলতে পারবেন না। এবার ম্যাচের প্রথম বল থেকেই ছিলেন হার্ষিত রানা। এবার হল রঙিন বলের ক্রিকেটে তাঁর সত্যিকারের অভিষেক। আর সেই অভিষেকেই যখন সামনে ওই ইংল্যান্ড তখন, তিনি ঝাল তো মেটাবেনই।
শুরুতে অবশ্য ঝাল মেটাচ্ছিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। এক ওভারেই হার্ষিত রানাকে তিনটি ছক্কা আর দুই চারে ২৬ রান তুলে নেন ফিল সল্ট। হার্ষিত রানার আত্মবিশ্বাসে তাতে এক বিন্দুও নাড়া লাগেনি।
বরং তিনি জ্বলে উঠেছেন আপন শক্তিতে। একই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন বেন ডাকেট আর হ্যারি ব্রুককে। ইংল্যান্ড যখন বুলেট গতিতে রান তুলছিল, তখন এর আগের ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরে যান ফিল সল্ট।
টানা তিন উইকেটের পতন, দুই রানের মধ্যে। ম্যাচে আর ফেরা হয়নি ইংল্যান্ডের। ইংল্যান্ডের এই না ফেরাটা নিশ্চিত করেন হার্ষিত রানাই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই ফাস্ট বোলার এরপর ফিরিয়ে দেন লিয়াম লিভিংস্টোনকেও।
ওয়ানডে অভিষেকেই তিন উইকেট। এর আগে উজ্জ্বল ছিলেন টি-টোয়েন্টি অভিষেকেও। তবে, টি-টোয়েন্টি অভিষেক নিয়ে বিতর্ক আছে। মিডল অর্ডার ব্যাটার কাম মিডিয়াম পেসার শিভাম দুবের কনকাশন সাব হয়ে আদৌ এক্সপ্রেস বোলার হার্ষিত রানা নামতে পারেন কি না – সে নিয়ে খোদ ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার প্রশ্ন তুলেছেন একাধিকবার।
সকল সমালোচনা নীরবে সয়েছেন হার্ষিত রানা। অপেক্ষায় ছিলেন ওয়ানডে সিরিজের। বুকের জ্বালা শতগুণ প্রবল করে ঠেলে দিলেন ইংল্যান্ডের দিকে। না, এবার আর কোনো খোঁচা নিশ্চয়ই দিতে আসবেন না বাটলার।