হাসান মাহমুদের ‘গতি দানব’

মোটর বাইকের প্রতি আলাদা মোহ থাকে সব সময়। ক্রিকেটের বাইশ গজে যারা প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করেন গতির মিশেলে তাদের যেন বাইকের প্রতি টানটা থাকে একটু বেশি।

এই যেমন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাইকের সাথে তার সখ্যতা বেশ পুরনো। যাতায়াতের মুল বাহনই তার মোটর বাইক। একেক সময় একেক মডেলের কিংবা ব্র্যান্ডের বাইক ব্যবহার করেছেন তিনি।

তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে, রুবেল হোসেনও সঙ্গী করেছেন বাইক। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে গতিশীল ছিলেন একটা সময় তিনি একাই। তাইতো প্রতিদিনের জীবনে তারও সঙ্গী ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের স্পোর্টস বাইক। অত্যাধুনিক বাইকের গতিতে চোখের পলকে চলে যাওয়া যায় কয়েক মাইল।

পেসার আর বাইকের এমন মেলবন্ধনের নতুন সংযোজন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের বর্তমান পেস আক্রমণের অন্যতম সেনানী তিনি। তার ছোড়া বলেও রয়েছে যথেষ্ট সমীহ করবার মত গতি।

প্রায়শই তাকে দেখা যায় ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বল ছুঁড়তে। নিশ্চয়ই তারও মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে বলের সমান গতি ছুঁয়ে দেখতে। তাইতো তার পছন্দ ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের এক্সএসআর মডেলের বাইক।

বাইকটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সাদা-লাল রঙের মিশ্রণের এই বাইকটি নিয়ে প্রায়শই ছুটে বেড়ান হাসান মাহমুদ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে নিত্যদিন বাইক নিয়ে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলোর ছবিও শেয়ার করেন হাসান।

১৫৫ সিসির এই বাইকে ঘন্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার অবধি গতি তোলা সম্ভব। হয়ত হাসান মাহমুদ চেষ্টা করেছেন সেই গতিতে নিজেকে আবিষ্কার করতে।

হয়ত তিনি পেরেছেন কিংবা পারেননি। কিন্তু তিনি না পারলেও, তার ছোড়া বল সেই প্রভাব অনুভূত করে প্রতিনিয়ত।

ক্রিকেট মাঠ থেকে জীবন, সব ক্ষেত্রেই হাসানের এই অদম্য পথচলা অল্পতেই থেমে যাবার নয় নিশ্চয়ই। গতির সাথে দায়িত্ববোধটাও তো রয়েছে তার মাঝে। তাইতো দাম্ভিকতাকে দূরে ঠেলে প্রতিরক্ষার মুকুটও মাথায় জড়িয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link