কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে আর পেছনে তাকাতে চান না। তিনি হাঁটতে চান ভবিষ্যতের পথে। আর সেই পথটা তিনি পাড়ি দিতে চান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়াই।
এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপ – কোনো আসরের জন্যই শ্রীলঙ্কান এই কোচের ভাবনায় নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্কিল ক্যাম্পের জন্য কোচের দেওয়া ২০ জনের তালিকায় রিয়াদের নাম নেই।
অবশ্য স্কিল ক্যাম্পের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো স্কোয়াড ঘোষণাও করা হয়নি। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল যে, ক্যাম্পে থাকবেন তিনি। তবে, কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের আপত্তি আছে রিয়াদকে নিয়ে।
রিয়াদ টানা তিনটি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেননি। ফলে, তাঁকে জাতীয় দলের বাইরেই বলা যায়। আর এশিয়া কাপে তেমন কোনো পারফরম্যান্স নেই রিয়াদের।
সর্বমোট করেছেন ৩২৮ রান, আছে একটি হাফ সেঞ্চুরি। এই ডানহাতির ব্যাটিং গড় স্রেফ ২৫ আর স্ট্রাইক রেট মাত্র ৬২। এই পরিসংখ্যান আধুনিক ক্রিকেটে খুবই বেমানান। আর সাবেক এই অধিনায়কের ফিটনেসেও সন্তুষ্ট নন কোচ হাতুরুসিংহে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বয়স এখন ৩৮-এর কাছাকাছি। তাঁর ব্যাটিং রিফ্লেক্স নষ্ট হয়ে গেছে, হ্যান্ড আই কম্বিনেশন নেই বললেই চলে। স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন না ঠিক মত। এমনকি এমন ম্যাচ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেখানে রিয়াদ ফিল্ডিংয়ে বড় কোনো ভুল করছেন না।
পবিত্র হজ পালন শেষে ফিরে বিসিবি একাডেমি মাঠে কয়েক দিন ধরে এককভাবে অনুশীলন করছেন রিয়াদ। গণমাধ্যমে সেই খবর প্রচারিতও হচ্ছে। ফলে, স্যোশাল মিডিয়ার একাংশ রিয়াদকে জাতীয় দলে দেখতে চায়। আর সেই আলোচনায় রসদ যেগাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাংশ।
কয়েকজন বোর্ড পরিচালক মনে করেন, অভিজ্ঞতার খাতিরে হলেও রিয়াদকে জাতীয় দলে নেওয়া উচিৎ। তাতে করে, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সাত নম্বরে দলের জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারবেন তিনি।
যদিও, পরিসংখ্যান সেই কথা বলে না। সাত নম্বরে রিয়াদের গড় ৩৪.৭১ হলেও স্ট্রাইক রেট ৭৭.২৯। আধুনিক সাদা বলের ক্রিকেটে এই পরিসংখ্যান মানানসই না। আর যেখানে কোচই তাঁকে দলে রাখতে আগ্রহী নন, সেখানে পরিচালকদের প্রভাব খুব একটা ধোপে টেকার কথা নয়।