চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মেগা ফাইনালের আগে, পাল্লা রয়েছে সমতায়। নিউজিল্যান্ড ও ভারত, এই দুই দল আইসিসির বৈশ্বিক আসরে একে-অপরের মুখোমুখি হয়েছে বহুবার। কিন্তু একপাক্ষিকভাবে জয়ের বিচারে এগিয়ে নেই কোন দল। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চেও রয়েছে ১-১ সমতা।
২০০০ সালে নাইরোবিতে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, সেই ম্যাচটায় পরাজয় হয়েছিল ভারতের সঙ্গী। সেবার তাদেরকে চার উইকেট ব্যবধানে হারিয়েছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা। এরপর আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে এই দুই দলের দেখা হয়নি।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচটি অবশ্য ভারত নিজেদের করে নিয়েছে। সেখানেই সমতায় ফিরেছে দলটি। কিন্তু শিরোপার হিসেবটা তো এখনও করা বাকি। ৯ মার্চের ফাইনালে রোহিত শর্মা নিশ্চয়ই চাইবেন শিরোপা দিয়ে নিজের পাল্লাটা ভারি করতে চাইতে। কিন্তু কাজটা সহজ হবে না।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের মঞ্চে এই দুই দলের দেখা হয়েছে মোট ১১ বার। এই ১১ দেখায় দুই দলের জয়ের সংখ্যা পাঁচটি করে। ২০১৯ বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টি জলে। অতএব এই দুই দলের লড়াই যে হয় হাড্ডাহাড্ডি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দলের আবার অদ্ভুত মিল রয়েছে। ২০১৯ সালে ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু অভাগা ব্ল্যাকক্যাপসরা শিরোপা আর উঁচিয়ে ধরতে পারেনি। ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। তাদেরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছিল ভারত। কিন্তু অভাগা ভারতেরও শিরোপা জেতা হয়নি।
তাইতো এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে শিরোপা জয়ের জন্যে মুখিয়ে থাকবে দুই দলই। কেউ কাওকে ছেড়ে কথা বলবে না। দুই দলের শক্তিমত্তাও প্রায় সমান, কোন কোন ক্ষেত্রে অবশ্য ভারত এগিয়ে। সুতরাং একটা জম্পেশ ফাইনালের প্রত্যাশা অন্তত করা যেতেই পারে।