২০২৩ সাল এখন শেষের পথ। হাতছানি দিচ্ছে ২০২৪। বছরের শেষ দিকে এসে তাই ক্রিকেটের খেরোখাতায় মনোযোগ অনেকের। এরই মধ্যে চলতি বছরের ওয়ানডে অধ্যায় শেষ হয়েছে। নেপিয়ারে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচই ছিল চলতি বছরের শেষ ৫০ ওভারের ম্যাচ। এ বছরে অবশ্য এই পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিল দলগুলো।
বিশ্বকাপের এ বছরে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ১৫৮৪ রান করেছেন শুভমান গিল। এবার দেখে নেওয়া যাক, শেষ হতে চলা বছরে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কেমন করেছেন।
- নাজমুল হোসেন শান্ত (৯৯২ রান)
২০২৩ সালে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান নাজমুল হোসেন শান্তর। ২৭ ম্যাচের ২৬ ইনিংসে ৪১.৩৩ গড় আর ৮৫.১১ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রান ৯৯২।
শতক আছে দুটি, অর্ধশত ৮ টি। তবে গোটা বছর ধরে ফর্মে থাকলে বিশ্বকাপে এসে খেই হারিয়েছেন এ ব্যাটার। সুযোগ ছিল এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রান পেরিয়ে যাওয়ার। তবে সেই কীর্তি ছোঁয়ার পথে ৮ রান দূরে থেকেই তাঁকে বছর শেষ করতে হলো।
- মুশফিকুর রহিম (৮৪৬ রান)
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এই তালিকায় পরের নামটা মুশফিকুর রহিমের। ২৬ ইনিংসে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার করেছেন ৮৪৬ রান। গড় ৩৬.৭৮, স্ট্রাইক রেট ৮৬.৫৯।
যেখানে ৬ হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরিটি আবার বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসেরই দ্রুততম সেঞ্চুরি।
- সাকিব আল হাসান (৭৩৫ রান)
২২ ইনিংসে করেছেন ৭৩৫ রান করে এই তালিকায় তিনে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। যদিও কোনো শতক পাননি। তবে ৬ টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
বিশ্বকাপের বছরে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাকিব পারফর্ম করতে পারেননি। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির নেপথ্যেও ছিল ব্যাট হাতে সাকিবের ছন্দচ্যূতি।
- তাওহীদ হৃদয় (৭২৭ রান)
এ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন তাওহীদ হৃদয়। তাতে খুব একটা খারাপ করেননি এ ব্যাটার। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ব্যাট করেছেন ২৩ ইনিংসে। ৬ অর্ধশতকে ৩৪.৬১ গড় আর ৮৫.২২ স্ট্রাইক রেটে হৃদয় রান করেছেন ৭২৭।
- লিটন দাস (৬৫১ রান)
গত বছর বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা লিটন দাস এবার রীতিমত সবাইকে হতাশায় ভাসিয়েছেন। অথচ বিশ্বকাপের বছরেই তাঁর জ্বলে ওঠাটা সবচেয়ে জরুরি ছিল।
কিন্তু, ২০২৩ সালটা তিনি শেষ করলেন হতশ্রী ব্যাটিংয়ে। ২৮ ইনিংসে ব্যাট করে কোনো শতক পাননি। অর্ধশতক করেছেন ৫টি। সব মিলিয়ে ৬৫১ রান করেছেন মাত্র ২৬.০৪ ব্যাটিং গড়ে। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের এ তালিকায় তাঁরই একমাত্র ব্যাটিং গড় ছিল ৩০-এর নিচে।