আর প্রেমাদাসার উইকেট একটু ট্রিকি ছিল। তবে, সেটা মোটেও ১৩৩ রান ডিফেন্ড করার মত নয়। শ্রীলঙ্কা সেটা পারেনি। বরং, বাংলাদেশের সামনে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিকরা। কলম্বোর ৩৫ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে আট উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত যেকোনো ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল লিটন দাসের দল।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ ওভারে দাসুন শানাকা ২২ রান তুলে নিয়েছিলেন শরিফুল ইসলামের বিপক্ষে। এরপর রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই নুয়ান থুসারার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান পারভেজ হোসেন ইমন।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ছিল কেবল এই সাতটা ডেলিভারি। বাকিটা সময় ম্যাচে একচ্ছত্র আধিপত্য করেছে বাংলাদেশ দল। কখনও বোলিংয়ে কখনও ব্যাটিংয়ে। শেখ মেহেদী হাসান টি-টোয়েন্টি একাদশে ফিরেই ১১ রান দেয় নেন চার উইকেট। বাকিরা দিয়ে যান যোগ্য সঙ্গ।
এক দাসুন শানাকা আর পাথুম নিশাঙ্কা বাদে শ্রীলঙ্কার আর কোনো ব্যাটার পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাননি। জবাব দিতে নেমে প্রথম দু’টো ওভারের পর থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাসের সাথে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। লিটন ৩২ রান করে স্যুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। অবশ্য, ততক্ষণে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
তামিম টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন। ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৭ রান করে অপরাজিত থাকা তাওহীদ হৃদয় নেন জয়সূচক রান। ২১ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশ। দীর্ঘ এক লঙ্কান সিরিজের শেষটা হলে স্বপ্নের মত।