নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম চার ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়ে বসেছিল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল তাঁরা। লো স্কোরিং ম্যাচে বোলারদের কল্যাণে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে দলটির। তবে সবাই ছাপিয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল ছিল ব্যাটার ইফতেখার আহমেদের বোলিং সত্তা।
এদিন কিউইদের লোয়ার মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। পুরো ম্যাচে চার ওভার হাত ঘুরিয়েছেন, উইকেট নিয়েছেন তিনটি; আর সেটার জন্য খরচ করতে হয়েছে মোটে ২৪ রান। পেস বান্ধব কন্ডিশনে পার্ট টাইম স্পিনার হয়েও এমন বোলিং নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটাররা দুর্দশার মুখে পড়েছিল। মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জামান ছাড়া আর কেউই পারেননি বিশের বেশি রান করতে। শেষপর্যন্ত আট উইকেট হারিয়ে এই দু’জনের ত্রিশোর্ধ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩৪ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
এমন পুঁজি নিয়ে জিততে তাই বোলারদের দারুণ কিছু করতেই হতো, নওয়াজ আর জামান খান সেটাই করেছেন। কিন্তু স্বাগতিকদের ভরসা হয়ে তখনো বাইশ গজে ছিলেন টিম সেইফার্ট আর গ্লেন ফিলিপ্স। তাঁদের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা; তবে সেই স্বপ্ন ম্লান হয়ে যায় ইফতেখার আক্রমণে আসতেই।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে সেইফার্টকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরের ওভারে আবার ইশ সোধি এবং টিম সাউদির উইকেট তুলে নিয়ে গ্লেন ফিলিপ্সকে পুরোপুরি নিঃসঙ্গ করে দেন। সবমিলিয়ে প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে তিন উইকেট পেয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। শেষ ওভারে ১৩ রান হজম করলেও তাই ক্ষতি হয়নি।
শাহীন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বে নতুন করে সবকিছু শুরু করেছে পাকিস্তান। সেই শুরুটা ভাল হয়নি বটে, তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এমন জয় নিঃসন্দেহে শাহীন শাহকে অনুপ্রাণিত করবে সামনে এগিয়ে যেতে। আর পথ চলার সময় এই ম্যাচের মতই তাঁকে সেরাটা দিয়ে সাহায্য করতে হবে ইফতেখার আহমেদের মত অভিজ্ঞ তারকাদের।