স্মিথের ছলনার জালে আটক গিল

স্মিথের ফাঁদে পা দিলেন গিল। ঘুরে স্মিথকে জবাব দিলেন, ‘তুমিও ইনিংসের শুরুতে সময় নাও, তাতে সমস্যা হয় না!’

কঠিন এক জয়ের সঙ্গী হয়েছেন অভিষিক্ত বিউ ওয়েবস্টার। আরেকটু আক্ষেপই যেন বাড়িয়ে দিলেন তিনি। এ যেন ভুল সময়ে জন্মের খেসারত।

বাকি রইল কেবল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসছে বছর, মানে ২০২৬ সালেই ২০ ওভারের ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের আরেকটা লড়াই। আবারও আয়োজক ভারত।

শিরোপার লড়াই থেকে পিছিয়ে গেলেও তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন সেটা নি:সন্দেহে সমর্থকদের দুশ্চিন্তাও দূর করবে। এখন কেবল ধারা ধরে রাখার পালা, তবেই পুরনো দাপট ফিরে আসবে ম্যানসিটির।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ দু’টো ওভার শাহীন আফ্রিদি করতে পারেননি। পারলে হয়তো পাকিস্তান সেই দফায় আরেকটা বিশ্বকাপ জিতেই যেত। একই কথা হয়তো বুমরাহর ক্ষেত্রেও বলা যায়। সিডনির তৃতীয় দিনে বুমরাহ থাকলে হয়ত ফলাফলটা অন্যরকম হতেও পারত!

শুরুটা করেছিলেন সেটপিস থেকে, মাপা ক্রসে রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি। এই দু'জনের কল্যাণে বিরতি থেকে পুনরায় উদযাপনের উপলক্ষ পায় বার্সা, তোরের পাস থেকে আরো একবার বল জালে জড়ান পোলিশ স্ট্রাইকার।

তিন দিনে শেষ হওয়া টেস্টের শেষেও রইল এর রেশ। কোচ ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘ওরা ইচ্ছে করে কন্সটাসকে রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমার দায়িত্ব, খেলোয়াড়দের মানসিকতার যত্ন নেওয়া। কন্সটাস মানসিক ভাবে ঠিক আছে কিনা, জিজ্ঞেস করেছিলাম। তখন অনেক কিছুই জানতে পারি।’

এনজো নামক জাদুর প্রদীপ হুট করে নিভে গেলো যেন, চার ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আর এই চার ম্যাচে দুই হার এবং দুই ড্রয়ের স্বাদ পেয়েছে ব্লুজরা।

‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম তাঁর’ – এই বাক্যের সবচেয়ে আদর্শ উদাহরণ তিনি। থাকতেন প্রাসাদে, যা নামে ‘পতৌদি প্যালেস’ হিসেবে বিখ্যাত। সেখানে চাকর-বাকরই ১০ জন। শিশু বয়সে তাকে দেখভাল করার জন্যই ছিল সাত কি আটজন।