ভিনিসিয়াস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যামরা আগে থেকেই ছিলেন; এবার সঙ্গে যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তিনজনেই জায়গা পাবেন নিঃসন্দেহে; আর এই তিনজনের একসঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদে খেলাটা স্প্যানিশ জায়ান্টদের কতটা ভয়ঙ্কর করে তুলেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্য একগাদা খেলোয়াড় থাকলেই হয় না, তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, ঠিকঠাক ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন একজন তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের হেডমাস্টার। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের কাছে সেটাও আছে, ইতালিয়ান বুড়ো কার্লো আনচেলত্তি সামলাতে পারবে না এমন ড্রেসিংরুম বোধহয় নেই।
আগামী মৌসুমে তাঁর ট্যাকটিক্স মোটামুটি দুই ধরনের হবে। আগ্রাসী খেলতে চাইলে ভিনি, এমবাপ্পের সঙ্গে রদ্রিগো আর মিডফিল্ডার হিসেবে বেলিংহ্যামকে রাখা হবে। আবার ডিফেন্স ঠিক রাখতে চাইলে সবশেষ মৌসুমের মতই বেলিংহ্যামকে ফলস নাইনে রেখে দুইপাশে ভিনি আর এমবাপ্পেকে খেলানো হবে। সেক্ষেত্রে রক্ষণে বাড়তি শক্তি যোগ করা যাবে।
যদিও এত এত তারকার ভিড়ে রিয়ালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফেদে ভালভার্দে। মাঝ মাঠ একাই নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন তিনি, সেটাই করে এসেছেন এতদিন। তবে এবার টনি ক্রুস না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে তাঁকে। আট নম্বর জার্সি পরে তিনি অবশ্য প্রস্তুত।
কেবল প্রতিষ্ঠিত ফুটবলারের ওপর অল হোয়াইটরা নির্ভর করে না, এই যেমন স্কোয়াডে আছেন আর্দা গুলার – তুর্কির হয়ে ২০২৪ ইউরোতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি, তাই চলতি মৌসুম জুড়ে তাঁর ঝলকানি দেখার আশা করাই যায়। অন্যদিকে, এন্ড্রিক তো আছেনই, ব্রাজিলের নেক্সট সুপারস্টার যদি নিজের প্রতিভাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন তাহলে রিয়ালের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকার কথা নয়।
এতকিছুর পরেও অনিশ্চয়তার খেলা ফুটবলে সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। তবু কাগজ কলমের হিসেব আর মাদ্রিদ তারকাদের সামর্থ্য বিবেচনায় প্রত্যাশা করা যায় এবারও লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিজেদের করে নিবে তাঁরা – এমনকি ট্রেবলও জিততে পারে। সাফল্যের সব উপকরণ হাতের কাছেই আছে, এখন শুধু দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর পালা।