পাকিস্তানের কোনো ‘বিশুদ্ধ’ মিডল অর্ডার ব্যাটার নেই। অথচ, চাইলেই খেলানো যেত শোয়েব মালিককে। বয়সটা বেড়ে গেলেও কিন্তু সাবেক এই অধিনায়ক এখনও বিদায় বলেননি ক্রিকেটকে। পাকিস্তান দলের জন্য নিজের দুয়ার বরাবরই খোলাই রেখেছেন তিনি।
জোর করে মিডল অর্ডারে পাঠানো হয় ফখর জামানকে। এছাড়া যারা আছেন, তাদের ব্যাটার বলাই কঠিন। শাদাব খান তো ব্যাটারই নন। তিনি মূলত বোলার। কখনও কখনও টি-টোয়েন্টির চাহিদা মিটিয়ে রান করতে জানেন।
এর বাদে ইমাদ ওয়াসিমও তাই। অন্যদিকে, ইফতিখার আহমেদ কিংবা আজম খানদের ওপর ভরসা রাখার জো নেই। তারা স্লগার। একদিন পারবেন, ১০ দিন পারবেন না – এটাই তাঁদের নিয়তি। তাঁদের কাছ থেকে নিয়মিত সার্ভিস পাওয়ার আশা করাটাই ভুল।
কিন্তু, আশা করা যেত শোয়েব মালিকের কাছ থেকে। বয়স এখন ৪২ হলেও তাঁর অন্তত আজম খানের মত ফিটনেস জনিত কোনো সমস্যা নেই। দিব্যি বিশ্বব্যাপী তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে যাচ্ছেন এবং দারুণ পারফর্মও করছেন।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার হচ্ছেন শোয়েব মালিক। তবে তাঁর সামনে হাতছানি রয়েছে শীর্ষে যাওয়ারও। প্রথম স্থানে থাকা ক্রিস গেইলের চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে শেষবার মালিক খেলেছেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই। ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে। এরপর আর তাঁকে দেখা যায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সে বার শোয়েব মালিককে বাদ দেওয়ার পেছনেও কোনো মোক্ষম যুক্তি ছিল না পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামার আগেই বিশ্বকাপে দারুণ খেলেন মালিক।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। সেখানে ৫০ গড় ও ১৮১.৮১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন তিনি। অথচ, সেই বিশ্বকাপের পর আর মাত্র দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান মালিক। গেল পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ১০ ম্যাচে করেন ২৫৪ রান। এদিক থেকে ইমাদ ওয়াসিম কিংবা আজম খানরা মালিকের চেয়ে পিছিয়েই ছিলেন।
২০২৩ সালের শেষে শোয়েব মালিককে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাঁকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করার ভাবনাও ছিল। কিন্তু, পাশার দান পাল্টে অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাবর আজমকে। সাথে দেওয়া হয় হযবরল এক মিডল অর্ডার। আর তাঁর ফলাফল মিলছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে!