নির্ধারিত সময়ে হাঙ্গেরি-স্কটল্যান্ড কোনো দলই পায়নি গোলের দেখা। তবে গ্রুপের তৃতীয় স্থাণে থাকা উভয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাইতো ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে স্কটল্যান্ডের জালে বল জড়ায় হাঙ্গেরির ফরোয়ার্ড কেভিন কসোবোথ। জয়টা যে খুবই প্রয়োজণ ছিল তাঁদের।
গ্রুপের শীর্ষ স্থাণ ইতিমধ্যেই জার্মানি আর সুইজারল্যান্ডের দখলে, তবে তৃতীয় স্থাণে থাকতে পারলে হাঙ্গেরি কিংবা স্কটল্যান্ডের সুযোগ ছিলো শেষ ষোলতে যাওয়ার। সেই দুই দলের কাছেই হেরেছিল হাঙ্গেরি। তবে শেষ ম্যাচে তাদেরকে আর পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়নি। গ্রুপ এ’তে ৭ পয়েন্টস নিয়ে প্রথমে আছে জার্মানি, ৫ পয়েন্টস নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সুইজাল্যান্ড। আর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ে তিন নাম্বার জায়গাটা এখন হাঙ্গেরির দখলে।
প্রথমার্ধে সমর্থকদের বেশ হতাশ করে স্কটিশরা। গোলের জন্য একটি শটও আসেনি স্কটিশ শিবির থেকে। তবে তাঁদের প্রথম ম্যাচে জায়ান্ট জার্মানির বিপক্ষেও প্রথমার্ধের অভিজ্ঞতা একই ছিল।
প্রথমার্ধের বিপরীত চিত্র হাঙ্গেরির শিবিরে। থেকে থেকে আক্রমণে যায় তাঁরা। তাঁরা পাঁচ শটের মধ্যে একটি শট লক্ষ্যে ছিল। তবে অষ্টম মিনিটের সেই চেষ্টা রুখে দেয় স্কটিশ গোলরক্ষক। তবে শেষের দিকে হাঙ্গেরি দলপতি দমিনিক সোবোসলাইয়ের ক্রসে পাওয়া বলে হেড করেন উইলি অর্বান, যদিও তা ক্রসবারে লাগে তবে তিনি অফসাইডে ছিলেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে আসে স্কটল্যান্ড। চে অ্যাডামসের সেই শট ক্রসবারের অনেক উপর চলে যায়। ৬৮ মিনিটে স্কটিশ গোলরক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন হাঙ্গেরির ফরোয়ার্ড বার্নাবাস ভার্গা, খেলা বন্ধ রাখতে হয় বেশ অনেকটা সময়, শেষে স্ট্রেচারে করে মাঠ ত্যাগ করতে হয় ভার্গাকে।
অতিরিক্ত হিসেবে বেশ অনেকটা সময় পায় দুই দল। তবে সেই সময়টাই কাজে লাগে হাঙ্গেরির। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের একদম অন্তিম মুহুর্তে স্কটিশ কর্ণার রুখে দিয়েই, আক্রমণে যায় হাঙ্গেরি। ডান পাশ দিয়ে স্কটল্যান্ডের বক্সে ঢুকেন রোলান্দ সালাই, আর পেনাল্টি স্পটের কাছে থেকে শট দিয়ে বল স্কটল্যাণ্ডের জালে ঢোকান কেভিন। তাতেই জয়ের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে মেতে ওঠে হাঙ্গেরি, বেঁচে থাকে শেষ ষোলোতে খেলার স্বপ্ন।