সেরা উদীমানদের হতাশাগাঁথা

কেভিন পিটারসেন, ইয়ান বেলদের মত ক্রিকেটারের ঝুলিতে আছে এই পুরস্কার। আবার তরুণ মুস্তাফিজ কিংবা ঋষাভ পান্তরাও পেয়েছেন উদীয়মান ক্রিকেটারের খেতাব। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে আলো ছড়িয়ে এই পুরষ্কার পেলেও অনেকই সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। ফলে শেষটা এতটা রঙিন হয়নি।

২০০৪ সাল থেকে বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার দিয়ে আসছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। এই তালিকায় আছে ক্রিকেটের অনেক মহাতারকার নামও।

কেভিন পিটারসেন, ইয়ান বেলদের মত ক্রিকেটারের ঝুলিতে আছে এই পুরস্কার। আবার তরুণ মুস্তাফিজ কিংবা ঋষাভ পান্তরাও পেয়েছেন উদীয়মান ক্রিকেটারের খেতাব। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে আলো ছড়িয়ে এই পুরষ্কার পেলেও অনেকই সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। ফলে শেষটা এতটা রঙিন হয়নি। উদীয়মান ক্রিকেটারের খেতাব পেয়েও দ্রুত হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়েই এই তালিকা।

  • শন টেইট (অস্ট্রেলিয়া)

২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন শন টেইট। সেবছরই আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরষ্কার জেতেন এই পেসার। যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন ক্রিকেট বিশ্বের বড় নাম হবেন টেইট। ২০০৭ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার সেরা পেসার ছিলেন তিনি।

তবে, এরপরই আস্তে আস্তে নিজের ধাঁর হারিয়ে ফেলেন এই পেসার। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে যায় মাত্র তিন টেস্টেই। এছাড়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যথাক্রমে ৩৫ ও ২১ টি। ২০১১ সালের পর আর ওয়ানডে ম্যাচে দেখা যায়নি তাঁকে। ফলে বড় আশা নিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেননি এই ক্রিকেটার।

  • স্টিভেন ফিন (ইংল্যান্ড)

২০১০ সালে আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হন ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। সেবছরই চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। দারুণ শুরু করলেও ধরে রাখতে পারেননি ধারাবাহিকতা। এছাড়া বোলিং অ্যাকশনে কিছু পরিবর্তন আনার পরেও নিজেকে হারিয়ে ফেলেন এই পেসার। ফলে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও আর দীর্ঘায়িত হয়নি। ৩৬ টেস্ট , ৬৯ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই থমকে যায় স্টিভেন ফিনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

  • দেবেন্দ্র বিশু (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষিক্ত হবার পর উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরষ্কার জেতেন দেবেন্দ্র বিশু। বিশুর মত একজন লেগ স্পিনারকে অনেক দিন ধরেই খুজছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট। ফলে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ক্রিকেট খেলেও দারুণ শুরু করেছিলেন এই লেগি।

তবে, তাঁর ক্যারিয়ারও বেশি লম্বা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনি খেলেছেন মাত্র ৩৬ টেস্ট, ৪২ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে এই স্পিনারের সামনে এখনো সুযোগ আছে তাঁর ক্যারিয়ার আরো সমৃদ্ধ করার।

  • গ্যারি ব্যালান্স (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ড ক্রিকেটে এক হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রের নাম গ্যারি ব্যালেন্স। ২০১৪ সালে অভিষিক্ত হবার পর দারুণ শুরু করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে দ্রুতই যেনো মিলিয়ে যেতে থাকেন এই ক্রিকেটার। এখন অবধি দেশটির হয়ে তিনি মাত্র ২৩ টি টেস্ট ও ১৬ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন।

ফলে, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা আর রঙিন হলো না এই ক্রিকেটারের। তবে ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের সামনে এখনো সুযোগ আছে পরিসংখ্যান গুলোকে আরো সমৃদ্ধ করার।

  • অজন্তা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট থেকে অনেক ভালো সব স্পিনাররা উঠে এসেছেন। মুরালিধরণ বা হেরাথদের সময়ে এসেও শুরুটা দারুণ করেছিলেন এই স্পিনার। ফলে শ্রীলঙ্কা অপেক্ষা করছিল নয়া এক কিংবদন্তির উত্থানের। তিন ফরম্যাটেই দারুণ কার্যকর ছিলেন সেসময়। ২০০৮ সালে উদীয়মান ক্রিকেটারের খেতাবও পান।

তবে, এরপরই আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকেন এই স্পিনার। তবুও শেষ পর্যন্ত ৮৭ টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। এছাড়া খেলেছেন ১৯ টেস্ট ও ৩৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...