ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতি, অলরাউন্ডারদের অভিশাপ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত আসরেই চালু হয় নতুন নিয়ম, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতি। তবে ম্যাচ যতই গড়াচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে এর আসল রূপ। ক্রিকেটের জন্য বিনোদনমূলক হলেও অলরাউন্ডারদের জন্য বেশ ক্ষতিকর এই পদ্ধতি। এমনটাই মনে করছেন খেলোয়াড়, কোচসহ, বিভিন্ন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

আইপিএলের ৩৯ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৬ উইকেট আর ৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় লখনৌ। চেন্নাইয়ের দলপতি রুতুরাজ গাইকোয়াড় এবং লখনৌয়ের মার্কাস স্টইনিস দেখা পান শতকের। ম্যাচ শেষে লখনৌয়ের পরামর্শক অ্যাডাম ভোজেস জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের ‘পাওয়ার সার্জ’-এর মত কিছু একটা চান। যেখানে দুই ওভারের জন্য ফিল্ডিয়ে সীমাবদ্ধতা দিয়ে দেয়া হবে।

ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে প্রথম দিকে অনেকের উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। তবে বর্তমানে অনেকেই এর ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে ভাবছে। এর মধ্যে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও রয়েছে। তাঁর মতে এই নীতির ফলে অলরাউন্ডারদের প্রতিভা দমে যেতে পারে।

ভোগেস একমত পোষণ করেন এবং চেন্নাই- লখনৌয়ের ম্যাচ শেষে বলেন, ‘দলে রান বাড়তে থাকে। তবে প্রকৃত ব্যাটাররা বেশ পরে, সাত-আট নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পান। যেখানে ব্যাটারদের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে হয়।’

ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নীতি নিয়ে এই পরামর্শক আরো বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই এটা ক্রিকেটের জন্য বেশ আনন্দায়ক। তবে অলরাউন্ডারদের জন্য ক্ষতিকারক। অলরাউন্ডাররা সাধারণত দলে একটা স্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করে করে থাকে। তবে তা ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারদের মতো এতো পার্থক্য গড়ে দেয় না।’

এবারের আসরে ইম্প্যাক্ট প্লেয়াররা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা অলরাউন্ডার হিসেবে দলে ভুমিকা রাখতে পারতেন। তবে তাঁকে দিয়ে শুধু ব্যাটিং কিংবা বোলিং করানো হচ্ছে। চেন্নাইয়ের শিভম দুবে এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তাঁর থেকে শুধু ব্যাটিং পারফরম্যান্সটাই কাজে লাগাচ্ছে চেন্নাই। এতে করে তাঁর বোলিংয়ে ভাটা পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link