অনুপ্রেরণা যেন চারদিক থেকে ধেয়ে আসে ইমরান তাহিরের দিকে। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের ক্যাপ্টেন ইমরান তাহির এক ধরনের ক্রোধ নিয়েই মাঠে নামেন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। এই ক্রোধকে অনুপ্রেরণায় পরিণত করেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার।
রংপুরের বিপক্ষে গ্লোবাল সুপার লিগের ম্যাচের টসের সময় তাহির বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি ম্যাচ জিততে চাই, প্রত্যেকটি ম্যাচ জেতার জন্যই আমরা এসেছি। আজকের ম্যাচ আমি গায়ানার জন্য অবশ্যই জিততে চাই। শুধু গায়ানার জন্যই নয়, নিজের জন্যও। রংপুর রাইডার্সের হয়ে আমি গত বিপিএল ( বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) মৌসুমে খেলেছিলাম। তবে আমি আমার চুক্তির সম্পূর্ণ টাকা পাইনি। এই বিষয়টি আজকের ম্যাচে আমাকে এক অন্যরকম অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আমি তাদের বিপক্ষে ভালো খেলতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘গায়ানা রংপুর রাইডার্সকে স্বাগতম জানিয়েছে। তাদের বেশ কিছু ঘরোয়া খেলোয়াড় এসেছেন। তারা এসেছেন এক অনন্য ক্রিকেটের প্রদর্শন করতে। আমরা চাই তাদের বোঝাতে যে আমরা তাদের থেকে মানবিক।’
তাহির নিজেকে প্রমাণ করতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি। তিনি ৪ ওভারে ২টি উইকেট শিকার করেছেন এবং খরচ করেছেন মাত্র ২৪ রান। তার এই অসাধারণ পারফরমেন্সের বলে রংপুরকে তারা ১১৭ রানে গুটিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। তবে দু:খজনক ভাবে তারা ১৫টি রানের জন্য ম্যাচটি জিততে পারেননি।
তাহিরের এই অনুপ্রেরণাদায়ক পারফরম্যান্স সত্ত্বেও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ম্যাচটি হেরে যায়। তাহির হতাশ হলেও নিজের অবস্থান এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেন। এই ম্যাচটি প্রমাণ করে, কখনো কখনো ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণা দলের সামগ্রিক সাফল্যে পুরোপুরি প্রতিফলিত না হলেও, তার শক্তি ও আবেগ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোতে দলকে আরও দৃঢ় করবে। ইমরান তাহির তার অধ্যবসায় এবং লড়াকু মানসিকতার মাধ্যমে মাঠে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
অবশ্য, রংপুরের বিপক্ষে সেই অর্থে ‘প্রতিশোধ’ নিতে পারেননি ইমরান তাহির। গায়ানাকে টপকে ফাইনালে যাওয়া রংপুর প্রথমবারের মত আয়োজিত গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়।