আশা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন তিনি। প্রায় এক যুগ ধরে জাতীয় দলের অংশ হলেও কখনোই জায়গাটা পাকা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। আর এখন দলে লিটন দাস, সৌম্য সরকার কিংবা টেস্টে সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসানরা থাকায় ইমরুলের ডাক আসে কালেভদ্রে। বলা উচিৎ, নেহায়েৎ বিপদে না পড়লে আজকাল ইমরুলকে ডেকে পাঠান না নির্বাচকরা।
ইমরুলের বয়সও এখন ৩৩। তবে, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যাননি তিনি। জানালেন জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেন তিনি। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমার চাওয়া হল- বাংলাদেশ দল একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। আমি দেশের জন্য বিশ্বকাপ নিয়ে আসব। এটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ইচ্ছা। কখনো যদি আমি এমন কোনো ক্ষমতা পাই যে আমি যা চাইব তা-ই পাব, তখন আমি চাইব বাংলাদেশকে আমি বিশ্বকাপ জেতাবো।’
ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সাকিব আল হাসান ও ইমরুলের রেস্টুরেন্ট সাকিব’স ৭৫-এর ফেসবুক পেজ। লাইভে সাকিবের প্রসঙ্গও আছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালে ব্যাটে-বলে জ্বলে ওঠার আগের একটি ঘটনা শেয়ার করেন ইমরুল।
তিনি বলেন, ‘একদিনের কথা বলি। রাত তখন দশ-এগারোটা বাজে। আমাকে ফোন দিল, ‘তুই কোথায়?’ আমি বললাম, ‘বাসায়’। বলল, ‘রেস্টুরেন্টে আয়, কথা আছে’। রেস্টুরেন্টে বসে একসাথে কথা বলছি। ওকে বললাম, ‘তুই যে খেলা খেলেছিস এরপর এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে দলীয়ভাবে ভালো করতে পারিনি, দল ভালো করলে তোর আরও বড় ইনিংস দেখতে পারতাম। তোর মাইন্ড সেটআপ কী ছিল?’
সাকিব সাধারণ একটু চাপা স্বভাবের। তবে, এবার ইমরুলের প্রশ্নে মন খুলে জবাব দেন সাকিব। আর জবাব শুনে চমকে যান ইমরুল। ইমরুল বলেন, ‘সাকিব আমাকে বলল – আমি যখন আইপিএলে বসে ছিলাম, হায়দরাবাদের হয়ে ম্যাচ খেলিনি, তখন আমার ভেতরে কাজ করছিল যে আমি আলাদাভাবে আমার পারফরম্যান্স দেখাবো। ও আমাকে দেখাল, ফোনের ভেতর লিখে নিয়েছিল- নিজের নামের জন্য ক্রিকেট খেলবে না, দেশের জন্য ক্রিকেট খেলবে। ও বলল, আমি জিনিসটা প্রতিদিন দেখতাম। ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন দেখতাম। আমি আমার নামের জন্য ক্রিকেট খেলবো না, আমি আমার দেশের জন্য ক্রিকেট খেলবো। কথাটা শুনে আমার খুব ভালো লেগেছে। একজন খেলোয়াড় কতটা নিবেদিতপ্রাণ হলে বা ভালো করার কতটা ইচ্ছা থাকলে এমন সফল হতে পারে। আমি ওর কথাতেই বুঝে গেছি, কেন বিশ্বকাপে এত ভালো করেছে।’