থিসারা পেরেরা স্লোয়ার বল। সেটা থার্ডম্যানে আলতো করে ঠেলে দিয়েই দ্রুত একটা রানের জন্য দৌড় দিলেন আন্দ্রে রাসেল। থার্ডম্যানে থাকা ফিল্ডার শেখ মাহেদী হাসানে থ্রো করা বল সরসারি গিয়ে লাগলো উইকেটকিপার প্রান্তে। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পৌছে গিয়েছিলেন আগেই। ঘটনাটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তা আর হলো কই!
তবে মিরপুরে মিনিস্টার ঢাকা আর খুলনা টাইগার্সের ম্যাচে ঘটলো এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।
কিপার প্রান্তে আঘাত করা সেই বল প্রতিফলিত হয়ে আবার নিজে নিজেই এসে আঘাত করলো অপর প্রান্তের উইকেট। স্বাভাবিক ভাবেই নির্ভার ভাবে সেই প্রান্তের দিকে যাচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। রাসেল বোধহয় চিন্তাও করেননি ওপ্রান্তে আঘাত করে আসা বল আবার এসে তাঁর প্রান্তের উইকেটেও লাগবে।
হেলতে দুলতে আসা আন্দ্রে রাসেল ঠিক করে ব্যাটটাও প্লেস করেননি। তবে হঠাতই পাশে তাকিয়ে দেখলেন বল এসে স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছে। রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে কতক্ষণ কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। যেনো বিশ্বাসই করতে পারছেন না। ওপাড়ে থাকা মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদও যেনো নির্বাক।
আন্দ্রে রাসেলে তো বিস্মিত হবেনই। মেহেদী হাসানের এমন রান আউট অবাক করেছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়াকে। এমন রান আউট শেষ কবে দেখা গিয়েছে কিংবা আদৌ হয়েছে কিনা তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। মিরপুরে রাসেলের এমন আউট তাই অনন্য হয়ে থাকবে ক্রিকেট ইতিহাসেই। দেখেও যেনো বিশ্বাস করা যাচ্ছিল না এমন আউট।
ঢাকার ইনিংসের ১৫ তম ওভারে তখন বেশ নির্ভারেই ব্যাটিং করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আন্দ্রে রাসেল। কেননা ঢাকাকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ শাহজাদ। ফলে নির্ভারেই ছিল মিনিস্টার ঢাকা। তবে সেই নির্ভারই যেনো কাল হয়ে দাঁড়াল। বিস্ময়কর এক রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন হার্ড হিটিং ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল।
যদিও রাসেলের আউটের পরেও খুব একটা ভুগতে হয়নি ঢাকাকে। দলটির অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস। ২ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ২০ বলে করেছেন ৩৯ রান। রিয়াদের ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ছিল ১৯৫.০০। শেষদিকে রিয়াদের এই ক্যামিওতে ১৮৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় মিনিস্টার ঢাকা।