ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড – চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে দু’দলের রূদ্ধশ্বাস অপেক্ষা। তবে আইসিসির ওয়ানডে ইভেন্টের ফাইনালে এটাই তাঁদের প্রথম দেখা নয়, ঠিক ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে একই মঞ্চে একইভাবে দেখা হয়েছিল দুই ক্রিকেট পরাশক্তির।
অনেকেরই হয়তো সেই স্মৃতি স্পষ্ট নয়, তবে ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলার আগে নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই অনুপ্রেরণা নিতে চাইবে সেখান থেকে। সৌরভ গাঙ্গুলির প্রতাপশালী দলটাকে যেভাবে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল কিউইরা সেটা আসন্ন লড়াইয়ে বাড়তি জ্বালানি সরবরাহ করবে।
গাঙ্গুলির অনবদ্য ১১৭ রানের ইনিংস এবং শচীন টেন্ডুলকারের ৬৯ রানে ভর করে ২০০০ সালের ফাইনালে ২৬৪ রান করতে সক্ষম হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। যদিও মিডল অর্ডার ব্যর্থ না হলে সংগ্রহ আরো বেশি হতে পারতো।
২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে কিউইদের আটকে রাখা যায়নি। ক্রিস কেয়ার্নসের অপরাজিত শতকের সুবাদে জয় তুলে নেয় দলটি। ইতিহাসে প্রথম কোন বৈশ্বিক শিরোপা জেতে তাঁরা, এখন পর্যন্ত সাদা বলে এটাই তাঁদের একমাত্র শিরোপা। অবশ্য ২০১৫ এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা। তবে দু’বারই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাথা নিচু করে।
যদিও নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ট্রফি আছে, আর সেটা এসেছে এই ভারতকে হারিয়েই। ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে আট উইকেটের জয় পায় তাঁরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসনরা।
অর্থাৎ এখন পর্যন্ত দুইবার মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়ে দুইবারই শিরোপা ঘরে তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দুবাইয়ের মহারণের আগে এমন অতীত নিশ্চয়ই আশাবাদী করবে স্যান্টনার বাহিনীকে। কিন্তু সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই, গ্রুপ পর্বে এই মাঠেই বরুণ চক্রবর্তীর কাছে হার মানতে হয়েছিল তাঁদের।
তাই ভারতীয় স্পিনারদের টেক্কা দিতে না পারলে ট্রফির স্বপ্ন বাদ দিতে হবে। একই সাথে বিশ্বসেরা ব্যাটারে ঠাসা ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে প্রয়োজন নিখুঁত পরিকল্পনা আর সেটার প্রয়োগ, তবেই তাসমানীয় দেশটির পক্ষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।