তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ভারত বিশ্বের সেরা দল কি না এমন প্রশ্নে বেশিরভাগই ইতিবাচক উত্তর আসবে। ফরম্যাট, প্রতিপক্ষ কিংবা কন্ডিশন – সবকিছু বদলালেও বদলায় না ভারতের আধিপত্য। যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে, এমন কি যেকোনো উইকেটেও ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামার সক্ষমতা আছে তাঁদের।
মিচেল স্টার্কও জানেন এসব, তাই তো ভারতের স্কোয়াড ডেপথ নিয়ে প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি তিনি। এই পেসার বলেন, ‘আমার মনে হয়, একমাত্র ভারতই একইদিনে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য আলাদা একাদশ গড়তে পারবে। আর এরপর তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেললেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।’
সত্যিই তাই, টিম ইন্ডিয়ার পাইপলাইন এতটাই শক্তিশালী যে তাঁরা চাইলে এ, বি, সি এভাবে তিনটা একাদশ তৈরি করে যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। আর এর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে আইপিএলের, একই সাথে প্রতিভার যত্ন নিতে পারাও একটা বড় ব্যাপার।
এ ব্যাপারে স্টার্ক বলেন, ‘আইপিএল অবশ্যই এক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করেছে। এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট, তবে আপনার প্রতিভার যত্ন নেয়াও জানতে হবে। এভাবেই তাঁদের স্কোয়াড ডেপথ বেড়েছে।’
তাহলে কি আইপিএলের পরিসর বাড়তে থাকা টিম ইন্ডিয়ার জন্য আশীর্বাদ? উত্তরে অজি ক্রিকেটার বলেন, ‘অবশ্যই আমি বলব এটা উপকারী; অনেক আন্তর্জাতিক তারকার সঙ্গে খেলার সুযোগ পায় স্থানীয়রা। যদিও আমার মনে হয় অন্য দেশের ক্রিকেটাররা আরো পাঁচ, ছয়টা বিদেশী লিগ খেলার সুযোগ পায়। সেখানে তাঁদের কেবল একটা লিগে খেলা হয়। এদিক দিয়ে তাঁরা পিছিয়ে আছে।’
সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলোতে তাকালেই অবশ্য এই অস্ট্রেলিয়ান তারকার কথার প্রমাণ পাওয়া যায়। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেই শিরোপার বড় দাবিদার ভারত। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির সর্বশেষ টুর্নামেন্টের শিরোপা তো তাঁদেরই দখলে।