ভারত যেন চাঁদের হাঁট!

এই রাত শুধু জয়ের রাত নয়, এই রাত প্রতিশোধের, এই রাত বিশ্বাস ফেরানোর! ভারতের স্বপ্নের ট্রেন চলতে শুরু করেছে, গন্তব্য—আরেকটি বিশ্বজয়ের মহাকাব্য!

টেনশনের ছায়া ভেঙে মুহূর্তের মধ্যেই চাঁদের হাটে রূপ নিল ভারতের শিবির। একটা ছক্কা, একটা আলিঙ্গন, একটা শূন্য দৃষ্টি—সব মিলিয়ে যেন আবেগের বিস্ফোরণ! দুবাইয়ের আকাশে নীল-কমলা জার্সির ছোঁয়া, গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। ভারতের ক্রিকেটীয় আকাশে আরেকটি মহাকাব্য লেখা হয়ে গেলো।

লোকেশ রাহুল যখন জয়ের ছক্কাটা হাঁকালেন, তখন চোখের সামনে হয়তো ফ্ল্যাশব্যাকের মতো ২০১১ সালের ধোনির সেই ছক্কাটা ভেসে উঠেছিল। ধোনি যেমন জড়িয়ে ধরেছিলেন ‍যুবরাজ সিংকে, লোকেশ রাহুল গিয়ে ধরলেন রবীন্দ্র জাদেজাকে।

আর সাজঘরে? কোহলি-রোহিতের সেই আলিঙ্গন যেন পুরো ভারতের আবেগ ধারণ করল। দুজনের মুখে হাসি, চোখেমুখে স্বস্তি! ২০২৩-এর বিশ্বকাপ ফাইনালের বেদনা হয়তো মুছে যায়নি, কিন্তু প্রতিশোধের পথে প্রথম ধাপটা পেরিয়ে গেল ভারত। কোহলি আর বিরাট কোহলি হাই ফাইভ করলেন, একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরলেন। মাঠে নেমে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া, বুনো উল্লাস করলেন।

আর অস্ট্রেলিয়া দলে আক্ষেপ তো থাকবেই। ম্যাচের পর বিরাট কোহলি এগিয়ে এসে স্টিভেন স্মিথকে আলিঙ্গন করলেন। ভাঙাচোরা একটা দল নিয়ে স্রেফ স্মিথের অধিনায়কত্বেই তো এতদূর এসেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই মহারথীর চোখেমুখে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাপ, তবে শ্রদ্ধাটাও ছিল অটুট। স্মিথ হয়তো বলতে চাইলেন— ‘আজ তোমরা ভালো খেলেছো, কিন্তু পরেরবার দেখা হবে!’

এই রাত শুধু জয়ের রাত নয়, এই রাত প্রতিশোধের, এই রাত বিশ্বাস ফেরানোর! ভারতের স্বপ্নের ট্রেন চলতে শুরু করেছে, গন্তব্য—আরেকটি বিশ্বজয়ের মহাকাব্য!

Share via
Copy link