রান তাড়া করতে নামলেই সেঞ্চুরি নিশ্চিত ভারতের!

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসলেই ভারতীয় দলে যেন সেঞ্চুরির হিড়িক পড়ে। বিশেষ করে রান তাড়া করতে নামলেই টপ অর্ডার ব্যাটাররা প্রতিযোগিতা শুরু করেন কে কার আগে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করবেন। সেজন্যই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রান তাড়ায় ভারতের মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা পাঁচটা, যার আশেপাশেও নেই অন্য কোন দল। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসলেই ভারতীয় দলে যেন সেঞ্চুরির হিড়িক পড়ে। বিশেষ করে রান তাড়া করতে নামলেই টপ অর্ডার ব্যাটাররা প্রতিযোগিতা শুরু করেন কে কার আগে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করবেন। সেজন্যই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রান তাড়ায় ভারতের মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা পাঁচটা, যার আশেপাশেও নেই অন্য কোন দল।

এইতো সবশেষ ম্যাচেই শুভমান গিল হাঁকালেন শতক, ক্যারিয়ারে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে নেমেই পেয়ে গেলেন অনবদ্য এক মাইলফলক। তাঁর অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া; ম্যাচসেরার পুরষ্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।

এর আগে আরো চারবার দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে ভারতীয় দর্শকেরা। গত আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষেই তো ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শতক আদায় করে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটিই তাঁর একমাত্র সেঞ্চুরি।

এছাড়া ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শিখর ধাওয়ান ১০২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে এসেছিলেন। শুরুটা হয়েছিল অবশ্য ২০০২ সালের আসরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দুই ওপেনার সৌরভ গাঙ্গুলি এবং বীরেন্দর শেবাগ ব্যক্তিগত শতক তুলে নেন। তাঁদের ব্যাটিং দাপটে ২৭০ রানের লক্ষ্য ৬৩ বল হাতে রেখেই টপকে যায় ভারত।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে আর কোন দলেরই দ্বিতীয় ইনিংসে এত সেঞ্চুরি হাঁকানোর অভিজ্ঞতা নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইটি সেঞ্চুরি আছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের।

পরাশক্তি দেশগুলোর পাশে বাংলাদেশের নাম দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০১৭ সালে কার্ডিফ কাব্য রচনার পথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসান পেয়েছিলেন তিন অঙ্কের দেখা। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে খেলা সেই ইনিংস দু’টি এখনো লাল-সবুজের সমর্থকদের শিহরিত করে।

Share via
Copy link