সদ্যসমাপ্ত অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপে ভারতের শিরোপা অধরা থাকলেও, একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার তাদের প্রতিভা, সাহস আর মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নজর কেড়েছেন। ২০২৮ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও কয়েক বছর দূরে।
তবে, ধারাবাহিক উন্নতি আর সঠিক সময়ে পারফরম্যান্স দিতে পারলে, এই অনূর্ধ্ব উনিশ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই হতে পারেন ভারতের ভবিষ্যৎ টি-টোয়েন্টি পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নজর রাখা যাক এমনই পাঁচ তরুণ প্রতিভার দিকে।
- বৈভব সুরিয়াভানশি

সুরিয়াভানশিকে ভবিষ্যত তারকা বললে জনপ্রিয়তা কিংবা দক্ষতা উভয় ক্ষেত্রেই ভুল হবে। কেননা, তিনি ইতোমধ্যেই ক্রিকেটবিশ্বে তারকা বনে গেছেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএল অভিষেক, সেই সাথে প্রথম বলেই ছক্কা, আবার ৩৮ বলে ১০১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস – সব মিলিয়ে ২০২৫ আইপিএল দিয়েই ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন সুরিয়াভানশি। অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেন ১৭১ রানের অতিমানবীয় ইনিংস।
- বিহান মালহোত্রা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৬ এর মিনি নিলামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আগ্রহই বলে দেয় বিহান মালহোত্রাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা কতটা স্পষ্ট।
অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে তিনি ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দেন। আরব আমিরাতের বিপক্ষে অর্ধ শতক করার পাশাপাশি বল হাতেও অবদান রাখেন এই অলরাউন্ডার। পুরো টুর্নামেন্টে পাঁচ ইনিংসে ৩৯.০০ গড়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।
- অভিজ্ঞান কুন্ডু

মালয়েশিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ২০৯ রান করে অনূর্ধ্ব উনিশ ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েন অভিজ্ঞান কুণ্ডু। এই ইনিংস তাঁকে ভারতের প্রথম অনূর্ধ্ব উনিশ ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির মালিক করে তোলে। একই সাথে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস তাঁর টি-টোয়েন্টি মানসিকতার প্রমাণ দেয়।
- দীপেশ দেবেন্দ্রন

অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপে ভারতের বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা ছিলেন দীপেশ দেবেন্দ্রন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই পেসার প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন।
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট, আর গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিয়েছেন তিন উইকেট। মাত্র ৫ ইনিংসে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৪.৭৭।
- আয়ুষ মাত্রে

অনূর্ধ্ব উনিশ এশিয়া কাপে ভারতের নেতৃত্বভার ছিল আয়ুষ মাত্রের কাঁধে। ব্যাট হাতে টুর্নামেন্টটি তাঁর জন্য খুব একটা স্মরণীয় না হলেও তাঁর ক্রিকেটীয় পরিচয় অনেক বিস্তৃত। চেন্নাই সুপার কিংসের তরুণ এই ব্যাটার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ছয় ইনিংসে ১৬৬.৬৭ স্ট্রাইকরেটে ৩২৫ রান করেন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৬৫.৪৩ গড়ে ৪৫৮ রান করে তিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ১৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলার কীর্তিও গড়েছেন। নেতৃত্বগুণ আর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি নি:সন্দেহে নজরকাড়া এক নাম।










