নব উদ্দীপনার ভারতীয় টেস্ট দল। নির্বাচক প্যানেলের প্রধান অজিত আগারকার পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন—এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ নেওয়া হয়নি, বরং ভবিষ্যতের জন্য নতুন মুখ তুলে আনতেই এই স্কোয়াড। উদ্দেশ্যটা পরিস্কার, ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয় গড়া। যাতে করে সময়মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে আনা যায়।
দিন বদলের এই গানে কেমন হবে ভারতের একাদশ? ব্যাটিং লাইনআপে নতুনত্ব থাকবে। ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়াল ও অধিনায়ক শুভমান গিল। তিন নম্বরে নবাগত সাই সুদর্শন — যিনি কেবল আইপিএল পারফরম্যান্স নয়, লাল বলের ধারাবাহিকতায় জায়গা পেয়েছেন।
চার নম্বরে ব্যাট করবেন লোকেশ রাহুল, ভারতের ভরসার সিপাহী। পাঁচ ও ছয়ে ঋষাভ পান্ত ও করুণ নায়ার। পান্ত আগে থেকেই আছেন, আর অভিষেকেই ট্রিপল সেঞ্চুরি করা নায়ার ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে রানবন্যার পর। এই ব্যাটিং লাইনআপে অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু প্রতিভা ও স্কিল রয়েছে যথেষ্ট।
বোলিংয়ের নেতা অবশ্যই জাসপ্রিত বুমরাহ। তবে, তাঁর ফিটনেস পুরো সিরিজে খেলার মতো নয়, তাই অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত হননি। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও মোহাম্মদ সিরাজ পেস আক্রমণে থাকবেন। বাঁ-হাতি পেসার আর্শদীপ সিং প্রথমবারের মতো টেস্ট স্কোয়াডে। অলরাউন্ডার হিসেবে ফিরেছেন শার্দূল ঠাকুর। স্পিন বিভাগে রবীন্দ্র জাদেজার পাশাপাশি কুলদীপ যাদবও আছেন।
একাদশের বোলিং আক্রমণে বুমরাহর সাথে জাদেজা, মোহাম্মদ সিরাজ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার থাকাটা নিশ্চিত প্রায়। কন্ডিশন ভেদে থাকবেন কুলদ্বীপ যাদব কিংবা শার্দূল ঠাকুর। বাড়তি ব্যাটিং অপশন হিসেবে ওয়াশিংটন সুন্দর বা নীতিশ রেড্ডিকে ভাবা যেতে পারে।
এই স্কোয়াড নির্বাচন ভারতের ভবিষ্যতের জন্য এক সাহসী সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত। অভিজ্ঞদের বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের সুযোগ দেওয়াটা এখন কেবল এক সিরিজের কৌশল নয়—বরং লং-টার্ম পরিকল্পনার অংশ। ২০ জুন শুরু হেডিংলি টেস্ট। সেদিন থেকেই বোঝা যাবে, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এই নতুন দল কতটা প্রস্তুত!
ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট, মানে গৌতম গম্ভীর নিশ্চয়ই এতক্ষণে প্ল্যান ‘বি’ও ভেবে ফেলেছেন। সেটা আদৌ দেখা যাবে কি না – তা নির্ভর করে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের ওপর। সাম্প্রতিক সময়ের প্রায় সবগুলো আইসিসি ইভেন্ট জেতা ভারতের কেবল এখন আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপটাই জেতা হয়নি। তাই বলা যায, যথেষ্ট মরিয়া হয়েই এবার মাঠে নামবে গম্ভীর-গিলের নতুন ভারত।