এশিয়ার সেরা ক্রিকেট দল বাছাইয়ের আর ক’দিন ই বা বাকি! ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বে ভিন্ন ধরনের আধিপত্য তৈরি করেছে। তাই প্রত্যেক দলই চায় তাদের সেরা দল পাঠিয়ে এশিয়ার সেরা খেতাবটা নিজেদের করে নিতে!
কিন্তু ২০২২ সালের এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগেই ভাঁজ পড়েছে প্রত্যেক দলের নির্বাচকদের কপালে। দিন যত বাড়ছে প্রত্যেক দলের ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়দের তালিকা বৃদ্ধিই পাচ্ছে। প্রত্যেক দলেরই প্রথম সারির কোনো না কোনো খেলোয়াড় চোটাক্রান্ত হয়ে মিস করবেন এবারের এশিয়া কাপ। তাই টুর্নামেন্ট জাঁকজমকপূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও (এসিসি)।
যদি দেশভিত্তিক তালিকা করা যায় তবে, দেখা যাবে ইনজুরির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টিম বাংলাদেশ। আর যত দিন যাচ্ছে, বাংলাদেশের ইনজুরির তালিকা ততই দীর্ঘ হচ্ছে। শুরুটা হয়েছিলো নুরুল হাসান সোহানকে দিয়ে। এরপর একে-একে লিটন কুমার দাস, শরিফুল ইসলাম এবং সর্বশেষ পেসার হাসান মাহমুদ ও পড়েছেন ইনজুরিতে। এবং আগে থেকে ইনজুরিতে আছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। এর মাঝে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে নুরুল হাসানকে দলে নেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকি বলতে নুরুল হাসানকে দলে রাখলেও নুরুল হাসান সোহান দ্বিতীয় পর্বের পূর্বে মাঠে নামতে পারবেন নাহ। তাই সোহানের ব্যাকআপ হিসেবে অবশ্য দলে রাখা হয়েছে সাব্বির রহমান রুম্মানকে। এছাড়া সম্প্রতি হাসান মাহমুদ হঠাৎ করেই ইনজুরিতে পড়ায় তার জায়গায় আসলে কে যাবে দলে তা এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে খোলাসা করে বলা হয়নি।
তবে জোর গুঞ্জন আছে দলে ডাক পেতে পারেন অনভিষিক্ত পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এছাড়াও নিজেদের মাঝে হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এক সময়কার অন্যতম সেরা বোলার আল-আমিন হোসেনকে। তাই আল-আমিন এর ও দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিছুটা। যদিও, লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন মৃত্যুঞ্জয়ই।
শুধু বাংলাদেশ ই যে এই সমস্যায় জর্জরিত তা কিন্তু নয়! আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত মিস করবে তাদের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহকে। ইনজুরির কারণে দলে রাখা হয়নি সময়ের অন্যতম সেরা এই পেসারকে। তাঁর পিঠের পুরনো ইনজুরিটা ফিরে এসেছে। এছাড়াও ভারতের আরেক নির্ভরযোগ্য পেসার হার্শাল প্যাটেলও ইনজুরির কারণে মিস করবেন এবারের এশিয়া কাপ।
এছাড়াও ইনজুরি পড়েছেন আরো একজন তারকা বোলার। তিনি পাকিস্তানের পেস বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়া শাহীন শাহ আফ্রিদি। ফলে, এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন না তিনি। শাহীন শাহ আর জাসপ্রিত বুমরাহ’র অনুপস্থিতিতে নিশ্চিত ভাবেই কিছুটা আলো হারাবে এশিয়া কাপ।
শ্রীলঙ্কা দলেও আছে ইনজুরির মিছিল। খেলতে পারবেন না বিনুরা ফার্নান্দো ও কাসুন রাজিথা। তাঁদের জায়গা ডাক পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো ও প্রমোদ মাদুশান।
বেশ কিছু ক্রিকেটার এশিয়া কাপে খেলতে না পারলেও এবারের এশিয়া কাপটা সময়ের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দিন ঘনিয়ে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তাই, এবারের এশিয়া কাপটাও হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের। তাই প্রত্যেক দল বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই এশিয়া কাপের মঞ্চকে বেছে নেবে। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও বলছেন। তাই ইনজুরি আসুক আর নাই আসুক, এবার এশিয়া কাপটা হয়ে থাকুক স্বরণীয়।