ইনটেন্টই লিটনের ইউএসপি

১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ থাকবেই লিটনের। কিন্তু, ১১ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরি পেলেন লিটন। এই প্রাপ্তিও কম নয়। তবে, দলীয় চাহিদা মিটিয়ে খেলেছেন - সবচেয়ে বড় নিশ্চয়ই এই প্রাপ্তিটাই।

বড় ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে রানপ্রসবা উইকেটে যা করা দরকার সেটাই করছিলেন লিটন দাস। গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট চালালেন ওয়ানডের গতিতে। ১২৩ বলে নব্বই রান করেন। মানে স্ট্রাইক রেট প্রায় ৭৫। মুশফিকুর রহিম যেখানে সময়ের চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না, সেখানে লিটন দেখিয়ে গেছেন নিজের ইনটেন্ট।

বৃষ্টির বাঁধা না আসলে হয়তো সেঞ্চুরিটা হয়েই যেত। কিন্তু, দ্বিতীয় সেশনের মধ্যভাগে বৃষ্টি আসার পর প্রথমত এক দফা মোমেন্টাম নষ্ট হয়। এরপর বৃষ্টি থামলে রানটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার চাপ ছিল।

এর ওপর শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনাররা লেগ সাইডে ফিল্ডারদের ছাতা বানিয়ে একের পর এক লেগেই বল ফেলে যাচ্ছিল। সেই ফাঁদেই পড়েন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। থারিন্দু রত্নায়েকের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে তিনি ফেরেন সাজঘরে।

লেগ সাইড ফিল্ডারদের ফাঁদ এড়াতে রিভার্স খেলতে গিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু বলটা লেগে গেল গ্লাভসে, টাইমিং হয়নি। বলটা ভেসে উঠল আকাশে, উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস দারুণ দ্রুততা দেখিয়ে দৌড়ে এসে ক্যাচটা লুফে নিলেন।

লিটন দাস নিজেকে দুর্ভাগ্যবান ভাবতে পারেন। অবশ্য, ইনিংসে তাঁর সৌভাগ্যও ছিল। ১১ টি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো ইনিংস খেলার পথে আরও দুবার লাইফ পান তিনি।

একবার রান আউট হতে হতে বেঁচে গিয়েছিলেন। ফিল্ডার বা উইকেটরক্ষক বলের গতিবিধি জাজ করতে ভুল করেন। স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে আবারও নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ফিরে গিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান।

এর আগেই থারিন্দুর বলে মিড উইকেটে লিটনের ক্যাচ ছাড়েন পাথুম নিশাঙ্কা। ওই একই ওভারে তিনটি চার মেরে নিজের ইন্টেনশন বুঝিয়ে দেন লিটন দাস। আর এই ইনটেন্টই লিটনের ৯০ রানের ইনিংসের মূল ইউএসপি।

১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ থাকবেই লিটনের। কিন্তু, ১১ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরি পেলেন লিটন। এই প্রাপ্তিও কম নয়। তবে, দলীয় চাহিদা মিটিয়ে খেলেছেন – সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি নিশ্চয়ই এই ইনটেন্ট দেখাতে পারাটাই।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link