পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দলের ম্যাচ। তবে মাঠের পরিবেশ, ম্যাচের উত্তাপ, উত্তেজনায় যেন একটুও কমতি নেই। দিল্লীর ঘরের মাঠ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অবশ্য এ দিন নিজেদের রাঙাতে পারেনি দিল্লী ক্যাপিটালস।
টানা ৫ হারে পরাজয়ের বৃত্ত তাঁরা ভেঙ্গেছিল টানা দুই জয় দিয়ে। কিন্তু সেই দুই ম্যাচ বাদে আবারো পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিল দিল্লী ক্যাপিটালস। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে এবার তাদের পরাজয় জুটেছে ৯ রানে।
টসে জিতে এ দিন প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। হায়দ্রাবাদের ইনিংস শুরু করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই আউট হয়ে ফিরে যান মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রাহুল ত্রিপাঠিও। তিনি ফিরে যান ব্যক্তিগত ১০ রানে।
রাহুল ত্রিপাঠির পথ ধরে এইডেন মার্করামও এ দিন উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মার্করামের পর শূন্য রানে ফিরে যান হ্যারি ব্রুক। নিয়মিত বিরতিতে হায়দ্রাবাদ উইকেট হারালেও এক প্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন অভিষেক শর্মা। আর তাঁর ব্যাটেই দারুণ সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
১২ চার আর ১ ছক্কায় ৩৬ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে বিদায় নেন অভিষেক শর্মা। অভিষেকের পর হায়দ্রাবাদের ইনিংসে হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন। প্রোটিয়া এ ব্যাটারের ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনেও বড় পুঁজি পায় হায়দ্রাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৯৭ রান।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারিয়ে ফেলে দিল্লী ক্যাপিটালস। ভূবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে অজি এ ওপেনার ফিরে যান শূন্য রানে।
তবে, ওয়ার্নার ফিরলেও মিশেল মার্শ আর ফিলিপ সল্ট জুটি পরবর্তীতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। এই দুই ব্যাটারের জুটি থেকে আসে ১১২ রান। আর এ যাত্রায় দুই ব্যাটারই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধ-শতক।
সল্ট আর মার্শ জুটিতে তখন ম্যাচ প্রায় দিল্লীর হাতের মুঠোয়। কিন্তু হঠাৎই ছন্দচ্যূতি ঘটে দিল্লীর ইনিংসে। ১৩ রানের ব্যবধানে একে একে ফিরে যান সল্ট, মার্শ আর মানিশ পাণ্ডে। দিল্লীর ইনিংসে হঠাৎ আসা এমন ঝড় আর পরবর্তীতে সামলাতে পারেনি পরের ব্যাটাররা।
প্রিয়াম গার্গ, সরফরাজ খান— কেউই এ দিন দিল্লীর ইনিংসের পরবর্তীতে আশার প্রদীপ জ্বালাতে পারেননি। অক্ষর প্যাটেল শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু, আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে হায়দ্রাবাদের দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত আর টপকাতে পারেনি দিল্লী ক্যাপিটালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের ইনিংস থামে লক্ষ্য থেকে ১০ রান দূরে, ১৮৮ রানে।