বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আগামী এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তবে তিনি নিজেই অনুরোধ করে সেখানে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ২০২৫ সালে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় চুক্তির বি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল তাঁকে, অর্থাৎ মাসিক ছয় লক্ষ টাকা বেতন দেয়া হতো। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনা করে তাঁর নিজেরই ইচ্ছে হয়নি চুক্তিতে থাকার।
স্টিভ স্মিথ অবসর নিয়েছেন, মুশফিকুর রহিমও সমালোচনার মুখে সঠিক সমাধান বেছে নিয়েছেন। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বোধহয় এখনো বুঝে উঠতে পারেননি; ক্যারিয়ারের শেষ বেলা, ফর্মে ভাটা তবু বিদায় বলতে যত অনীহা তাঁর।
বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর দলের সিনিয়ররা অবসর নেবেন এমনটাই ধারণা করেছিল সবাই। যদিও সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়, অন্যদিকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক। এরই মধ্যে ফেসবুক পোস্টে মুশি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে সরে যান।
মাহমুদউল্লাহ এখনো অবশ্য জানাননি আনুষ্ঠানিক বিদায়ের কথা, টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট ফরম্যাট থেকে ইতোমধ্যে বিদায় নেয়া মানুষটা হয়তো আরেকবার শেষ ভাবনা ভাবতে চাইছেন ওয়ানডেকে ঘিরে। যদিও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করা অবসরের প্রচ্ছন্ন বার্তাই বটে। মাঠ থেকে ইতি টানার জন্যই সম্ভবত বিলম্ব করছেন তিনি।
এর আগে একই কাজ করেছিলেন তামিম ইকবাল, মাশরাফি মর্তুজা। দলের বাইরে যাওয়ার পরও তাঁদের চুক্তির অধীনে রাখতে চেয়েছিল বোর্ড, কিন্তু তাঁরা নিজেরাই সেটা চাননি। এরপর তো তামিম অবসর নিয়ে নিয়েছেন, অন্যদিকে মাশরাফি ঢাকঢোল পিটিয়ে না জানালেও লাল-সবুজ জার্সিটা তাঁর জন্য অনেক দূরের অতীত।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মি.সাইলেন্ট কিলার হাঁটছেন সেই পথেই। বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছে নেই তাঁর, সেজন্য থাকতে চান না চুক্তিতে – এখন দেখার বিষয় তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কবে চূড়ান্ত বিদায় জানিয়ে দেন।