ভিনিসিয়াস জুনিয়র না থাকলেই বোধহয় ভাল, আর কারো জন্য না হোক অন্তত রদ্রিগোর জন্য তো নিশ্চয়ই ভাল। ভিনিসিয়াস না থাকলেই লেফট উইংয়ে সুযোগ পান তিনি, আর এরপর যা করেন সেটা কেবল বিস্মিত চোখে তাকিয়ে দেখার মত। রীতিমতো রোনালদিনহো গাউচো হয়ে উঠেন তিনি – মাঠের বাম পাশে রীতিমতো রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
এইতো ব্রেস্টের বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না ফিফা দ্য বেস্টের বর্তমান বিজয়ী। ঘরের মাঠে সেটাই কাল হয়ে এসেছে তাঁদের জন্য, পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে দলটাকে নাচিয়ে ছেড়েছেন রদ্রিগো। শুরুটা করেছিলেন প্রথমার্ধে, বাম প্রান্ত দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে খুঁজে নিয়েছেন ফার পোস্ট। পরের গোলটাতেও ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার ছাপ।
তবে এই তারকার পারফরম্যান্স কেবল গোল দিয়ে বিচার করা যাবে, পুরো ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়টা ড্রিবলিং সম্পন্ন করেছেন তিনি। ডুয়েল জিতেছেন সর্বোচ্চ এগারোটা – এবং গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন দুইবার।
পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ফরাসি ক্লাবকে কেমন নাকানিচুবানি খাইয়েছেন এই সাম্বা বয়। অবশ্য ভিনি জুনিয়র না থাকলে এই দৃশ্য নিয়মিত দেখা যায়। লিগে গত দুই ম্যাচ ছিলেন না ভিনি, দুই ম্যাচে রদ্রিগোর পা থেকে এসেছে এক গোল আর জোড়া অ্যাসিস্ট। ক্যালেন্ডারের আরো পিছনে গেলেও এননটা দেখা যাবে, লেফট উইংয়ে যতবারই খেলেছেন তিনি ততবারই বিশ্বসেরাদের মতন পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।
এমবাপ্পে, বেলিংহ্যাম, ভিনি এত এত বড় নামের মাঝে রদ্রিগোর নাম তো শোনাই যায় না। তাও যদি একাদশে থাকেন, সেটাও রাইট উইঙ্গার হিসেবে। তাই নিজের সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খুব একটা খেলা হয় না তাঁর। অথচ পারফরম করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই; শেষ এগারো ম্যাচে করেছেন নয় গোল, শেষ চার ম্যাচে চারটা।
বিতর্ক হতে পারে, লেফট উইঙ্গার হিসেবে ভিনিসিয়াস নাকি রদ্রিগো কে বেশি বিধ্বংসী। তবে ভিনি ইতোমধ্যে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন পাহাড়ের চূড়ায়। তাই ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকা ফুটবলার হিসেবেই বোধহয় রিয়াল মাদ্রিদে নিজের ক্যারিয়ার শেষ করবেন রদ্রিগো।