শুরুটা কি দারুণভাবেই না হলো, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দিয়ে লাইমলাইটে আসার পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। আর তাতেই বোধহয় অতি আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসেছিল তাঁকে, সেঞ্চুরির পর থেকে রান করাই ভুলে গিয়েছেন তিনি। একের পর এক ম্যাচ পার হয়, তিনি একের পর এক ব্যর্থতা উপহার দেন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এই ওপেনারের সামর্থ্য নিয়ে, প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সক্ষমতা নিয়ে। যে সম্ভাবনাকে পুঁজি করে তাঁর মাথায় জাতীয় দলের ক্যাপ পরিয়ে দেয়া হয়েছিল সেই সম্ভাবনা দিন দিন যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
শতক হাঁকানোর পর থেকে আটটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। কিন্তু বড় রান করা তো দূরে থাক, একবারও বিশ রানের গণ্ডি পেরুতে পারেননি। এর মধ্যে আবার এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন তিনবার, আর সবমিলিয়ে করেছেন স্রেফ ৭০ রান। তিনি আসলে দলকে ভাল শুরু এনে দেয়ার কাজটা করতেই পারছেন না।
সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সঞ্জু স্যামসনের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তিনি, প্রথম ম্যাচে সাত রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হয়েছেন চার রানে। কিন্তু এর চেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় তাঁর আউটের ধরন। দুই ম্যাচেই তাঁকে বাউন্সারে পরাস্ত করেছিলেন জেরাল্ড কোয়েটজি, পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন ফিল্ডারের হাতে।
তবু এই উদীয়মান তরুণের ব্যাপারে আশাবাদী তাঁর বাবা রাজকুমার শর্মা। তিনি বলেন, ‘অভিষেক অফ ফর্মে আছে এমন কিছু নয়। তাঁর একটা ভাল ইনিংস দরকার শুধু, আমি নিশ্চিত শীঘ্রই ভাল ইনিংস খেলবে সে। শূন্য রানে আউট হওয়ার পরের ম্যাচেই কিন্তু সেঞ্চুরি করেছিল, আবারো ঘুরে দাঁড়াবে সে এটা নিশ্চিত।’
ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনে প্রতিযোগিতা আসলে ব্যাপক, অনেক সম্ভাবনাময়ী তারকা অপেক্ষায় আছেন সুযোগের। তাই দ্রুত রানে ফিরতে না পারলে এই তারকার জায়গায় অন্য কাউকে সুযোগ দিবে টিম ম্যানেজম্যান্ট, এটাই স্বাভাবিক। হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই তাঁর জন্য শেষ পরীক্ষা।