সবশেষ কবে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ঈশান কিষাণ তা বোধহয় নিজেও ভুলতে বসেছেন। এক বছরের বেশি সময় পর দুলীপ ট্রফি দিয়ে লাল বলের খেলায় ফিরতে পারাটাই তাই দারুণ একটা ব্যাপার তাঁর জন্য। আর এমন আকস্মিক প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখতে কোন ভুল করেননি তিনি, ভারত বি দলের বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে হাঁকিয়েছেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি।
চোট আর ব্যক্তিগত কারণে ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিলেন এই বাঁ-হাতি, তবে দুলীপ ট্রফি দিয়ে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু গ্রোয়েন ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আবার স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয় তাঁকে, কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন সেটাও জানানো হয়নি। যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে হুট করেই ভারত সি দলের একাদশে দেখা যায় তাঁর নাম।
৯৭ রানে দুই উইকেটের পতন ঘটলে বাইশ গজে আসেন এই ব্যাটার, এরপর হাল ধরেন দলের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবা ইন্দ্রজিতের সঙ্গে মিলে স্কোরবোর্ডে ১৮৯ রান যোগ করেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরির পর পরপরই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে, তাঁর নামের পাশে তখন ছিল ১১১ রান।
এর আগে গত মাসে আয়োজিত বুচি বাবু ফ্রেন্ডলি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত একটি শতক এসেছিল ঈশানের ব্যাট থেকে, জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও তাঁর ব্যাটে যে মরচে পড়েনি সেটা তাই স্পষ্ট। এর ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে তাঁকে ডাকার গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
মানসিক অবসাদের জন্য বিরতি না নিলে হয়তো এখন ভারতের টেস্ট স্কোয়াডের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকতেন এই তারকা। কিন্তু তাঁর অবর্তমানে নির্বাচকরা সুযোগ দেন ধ্রুব জুরেলকে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক সিরিজে জুরেল অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সেই ভরসার প্রতিদান দেন – এছাড়া দীর্ঘ বিরতি পেরিয়ে ঋষাভ পান্ত দলে ফেরায় ভারতের মিডল অর্ডারে আপাতত শূণ্যতা নেই।
চেন্নাই টেস্টের জন্য স্কোয়াড অবশ্য ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে, তাই ঈশান কিষাণকে হয়তো কানপুর টেস্টের জন্য বিবেচনা করলেও করতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেক্ষেত্রে অবশ্য প্রথম ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে ব্যাটাররা কেমন করে সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে।