এমন দিনেই সাকিবকে ব্যাটে-বলে ঝড় তুলতে হলো? শ্রীলঙ্কায় যখন বাংলাদেশ জাতীয় দল নাকানিচুবানি খাচ্ছে, দূর গায়ানাতে সাকিব তখন দুবাই ক্যাপিটালসে টানছেন একা হাতে। ব্যাট হাতে প্রথম বলে রিভার্স সুইপে চার মারছেন, বল হাতে প্রথম বলেই উইকেট তুলছেন।
ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৮ রানের পর, বল হাতে ৪ উইকেট! যেন কোন প্রশ্ন নয়, সাকিব ঘোষণা করছেন, ৩৮ বছর বয়সেও আমার সমকক্ষ কোন খেলোয়াড় বাংলাদেশে নেই।
ব্যাট হাতে সাকিব যখন উইকেটে আসেন, দুবাই ক্যাপিটালস তখন ৫৮ রানে হারিয়েছে ৩ উইকেট। প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ থেকে আদায় করেন ৪ রান। অপরপ্রান্তে উইকেট যাওয়ার মিছিল শুরু হলে, ‘এংকরিং’ রোল পালন করেন। কিন্তু ‘গিয়ার শিফট’ করতে সময় লাগে নি।
সাকিবের ব্যাটিংয়ে এখন ঠিক আগের জৌলুশ নেই। গায়ানার স্লো উইকেটে সাবলীল ব্যাটিং করাও দূরুহ। কিন্তু সাকিবের অভিজ্ঞতা, সাকিবের ক্রিকেট মনস্তত্ত্ব জানে এখানে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়। ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস, ৭ টি চার, ১ ছয়। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৫৭। দলকে পৌছে দিয়েছেন ১৬৫ রানে।
এরপরে বল হাতেও চলে ‘দ্য সাকিব শো’। অবশ্য বল হাতে সাকিবের ঝড় অনুমিতই ছিলো। যতদিন ব্যবধানেই সাকিব ক্রিকেটে ফেরেন না কেন, বোলিংয়ের ধার খুব একটা হারান না। উইকেটেও রয়েছে স্পিনারদের জন্য সাহায্য। সাকিব তো জাদু দেখাবেনই।
প্রথম বলেই উইকেট, প্রথম ওভারে ‘ডাবল উইকেট মেইডেন’। ম্যাচ শেষে বোলিং ফিগার ৪-১-১৩-৪। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করেই দলকে জিতিয়েছেন ২২ রানে। এমন পারফরম্যান্সের পরেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ কে হয়েছেন বলতে হবে?