গত ২০ মার্চ ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিপক্ষে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাকিব আল হাসান। এর পরের দিন থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বোর্ডের নির্বাচক ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দাঁড় করাতে থাকেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও।
সাকিব-মাশরাফি ক্রিকেট বোর্ডের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পুরো ক্রিকেট সিস্টেমকেই। তবে বোর্ডের পরিচালকদের সমালোচনা করলেও দেশের শীর্ষ এই দুই ক্রিকেটার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের।
অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বয়স ভিত্তিক দল গুলোর পিছনে খালেদ মাহমুদ সুজনের অবদান তুলে ধরে ক্রিকেটারদের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ও আস্থার মানুষ হিসাবে আখ্যায়িত করেন তাঁকে।
বাংলাদেশের সাবেক দুই অধিনায়ক এভাবে বোর্ডের সমালোচনা করার পর তোলপাড় শুরু হয়ে যায় দেশে। সেই ধাক্কা বিসিবিকে নাড়িয়ে দিলেও এখনো সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তবে আজ (২৭ মার্চ) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টিকে বিব্রতকর উল্লেখ করে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন এই ইস্যুকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ততটা গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই। সুজন মনে করেন ভালোবাসা, ক্ষোভ ও দু:খ থেকেই হয়তো তাঁরা এসব কিছু বলেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এটার ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাইনা। আমি আসলে বলতে চাই, বিব্রতকর একটু লাগবেই। দুজনেই আমাদের দেশের ক্রিকেটের আইকন। মাশরাফি আইকন, অন্যতম সফল অধিনায়ক, কিংবদন্তি বলবো আমি। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা অধিনায়ক। সাকিবতো বিশ্বসেরা। বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার। যে ব্যাপারটা ওরা বলেছে এটা আসলে…সবারই ভালোবাসা থাকে ক্ষোভ থাকে, দুঃখ থাকে।’
এ প্রসঙ্গে সুজন আরো বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকরা সবাই সম্মানীয়, যারা কাজ করে চেষ্টা করে। তারা তাদের সর্বোচ্চটা চেষ্টা করে। হয় কি কখনো সফল, কখনো ব্যর্থ। আলাদা করে কেউ এখানে সময় কাটাতে আসেনা। সবাই চেষ্টা করে। ওরা ওদের ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়েছে। আমি মনে করি যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি ততটা গুরুত্ব দেওয়ার কিছুনা। এটা যত দ্রুত সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে ঠিক করে ফেলা যায়। এটা নিয়ে কথা বাড়ানো ঠিক না, গসিপ করাটাও উচিত না। যার যার মনের কথাটা হয়েছে। সত্যি মিথ্যা কথা না।’
মাশরাফি ও সাকিব বিভিন্ন সমস্যর কথা তুলে ধরলেও সুজন মনে করেন ক্রিকেট বোর্ডে নাজমুল হাসান পাপনের মতো লোক থাকাতে কোন সমস্য থাকার কথা নয়। তবে সুজন আশ্বাস দিয়েছেন এই ছোট ছোট বিষয় গুলোর সমাধান খুব দ্রুতই হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যে বোর্ডে পাপন ভাইয়ের মত লোক আছে সে বোর্ডে আসলে সমস্যা থাকার কথা না। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের খুটিনাটি সবই জানেন। যেকোন পরিস্থিতি উনি সামাল দিতে পারেন খুব ভালো করে। পাপন ভাই এখন খুব বেশি কোন কারণে বের হচ্ছেন না। উনি বের হলে আশা করি খুব দ্রুতই এসব ছোটখাটো বিষয় সমাধান হয়ে যাবে।’