বয়স মাত্র ২২। এরই মধ্যে পাকিস্তানের পেস আক্রমণের অন্যতম নেতা হয়ে উঠেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস কিংবা ইমরান খানদের উত্তরসূরী হিসেবে পাকিস্তানের পেস ইউনিটের ব্যাটনটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শাহীন।
কিন্তু, গ্রেট হওয়ার সকল গুণাবলী যার মাঝে বর্তমান, তাঁর ক্যারিয়ারে বাঁধাও আছে। আর সেই বাঁধার নাম ইনজুরি। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের কারণে মাঠের বাইরে আফ্রিদি।
ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের একের পর এক হোম সিরিজ মিস করেছেন আফ্রিদি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নাম লিখিয়েও খেলতে আসতে পারেননি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কাটিয়ে এবার খেলতে নেমেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসেল)। কিন্তু পিএসএলেও যেন খুব বেশি ছন্দে নেই শাহীন।
গত বছরই পরপর দুইবার হাঁটুতে চোট পাবার পর দীর্ঘদিনের বিরতি কাটিয়ে পিএসএল দিয়েই মাঠে ফিরেছেন আফ্রিদি। কিন্তু সেই পুরোনো আফ্রিদিকে যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস বোলার ওয়াকার ইউনিস ও মনে করছেন সেই আগের ক্ষুরধার আফ্রিদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওয়াকার ইউনিস বলেন, ‘যে শাহীনকে আমরা চিনি এটা ও নয়। ওর মাঝে ছন্দ একবারেই নেই।’ গতি, সুইং আর আগ্রাসনে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ঘুম কেড়ে নেয়া শাহিন আফ্রিদি যেন ইনজুরি আর দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার ফলে নিজেকেই হারিয়ে খুঁজছেন কিছুটা।
এবারের পিএসএলেও লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহীন শাহ। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে প্রথম ম্যাচে এক উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। কিন্তু, পারফরম্যান্স দিয়ে নিজের ওপর প্রত্যাশাটা এতটাই বাড়িয়েছেন শাহিন যার কারণে ভক্ত থেকে শুরু করে সাবেক খেলোয়াড়েরাও সবসময় সেরা ফর্মের শাহীনকেই মাঠে দেখতে চায়।
তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই পাকিস্তানের বোলিং ইউনিটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফ্রিদি। এরই মধ্য করেছেন মনে রাখার মত কিছু স্পেল। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেয়া সেই স্পেল তো গত কয়েকবছরের মধ্যে সেরা।
লোকেশ রাহুল আর রোহিত শর্মাকে আউট করা ডেলিভারি দুটিকে ইংলিশ ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন রায় দিয়েছিলেন, এযাবৎকালের সেরা দুটি ডেলিভারি হিসেবে। এমন শাহীনকে দেখে যারা অভ্যস্ত তাদের কাছে ইনজুরির পরের শাহীনকে কিছুটা অচেনা লাগারই কথা।
তবে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে নিজের সেরা ফর্মে ফিরবেন শাহীন, এমন প্রত্যাশা নিশ্চয়ই করছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। না ফিরলে নিজের সাথে সাথে পাকিস্তান ক্রিকেটেরও বিপদই ডেকে আনবেন শাহীন।