শেষ ওভারে আর একটাও বল খেলার সুযোগ পেলেন না। পেলেই হয়তো গল্পটা একটু অন্যরকম হতে পারত। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁয়ে ফেলা যেত। কিন্তু আসলে, তাঁর জন্য সংখ্যাটা কখনোই মুখ্য ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের চাহিদা। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে সেটাই করলেন শ্রেয়াস আইয়ার। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন—নতুন জার্সি, কিন্তু পুরোনো জয়ের খিদে।
ভারতের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা হাতে তোলার পর, এই আইপিএল যেন তাঁর জন্য আরেকটা মঞ্চ। বোঝানোর মঞ্চ, প্রমাণের মঞ্চ। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে সেভাবে মূল্য দেয়নি, হয়তো ঠিকঠাক বিশ্বাস রাখেনি। পাঞ্জাব কিংস সে ভুল করেনি। তাঁকে অধিনায়ক বানিয়েছে, তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আর শ্রেয়াস? স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
৪২ বলে অপরাজিত ৯৭ রান! স্ট্রাইক রেট ২৩১! নয়টা ছক্কা, পাঁচটা চার। আহমেদাবাদের মাঠে তাঁর ব্যাট যেন দাবানল। পাঞ্জাব বোর্ডে জমা করল ২৪৩ রান, আর গ্যালারিতে তখন একটাই নাম — শ্রেয়াস আইয়ার!
এটাই তো তাঁর ক্রিকেটের গল্প। যেখানে যত বাধা এসেছে, ততটাই যেন নিজেকে নতুন করে চেনানোর তাগিদ জন্ম নিয়েছে তাঁর ভেতর। নেতৃত্বটা যেন তাঁর রক্তে মিশে আছে। দায়িত্ব পেলেই পাল্টে যান তিনি, ব্যাট হাতে হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। পাঞ্জাব কিংস এবার সেই ব্যাটসম্যান-নেতার ছায়ায় নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে।
জার্সি বদলেছে, দল বদলেছে, কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার বদলায়নি। তাঁর জয় তাড়না, তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের খিদে, আর প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা এখনও ঠিক আগের মতোই তীব্র!