ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শ্রেয়াস আইয়ার – নামের শেষ অংশটা কাকতালীয়ভাবেই মিলে গিয়েছে বোধহয়, সেই সাথে মিলে গিয়েছে দু’জনের ক্রিকেট মস্তিষ্কও। তাই তো বাইশ গজে জুটি গড়লেই তাঁদের ঈর্ষণীয় বোঝাপড়া দূর থেকে অনুভব করা যায়, যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ।
এই দুই ব্যাটারের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই মূলত বিশাল ব্যবধানে জিততে পেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। হায়দ্রাবাদের ছুঁড়ে দেয়া ১৬০ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য আট উইকেট এবং ৩৮ বল হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে দলটি। আর এর পিছনে মূল অবদান তাঁদের অপরাজিত ৯৭ রানের জুটি।
তিন নম্বরে নেমে ভেঙ্কটেশ এদিন ২৮ বল খেলেই করেছেন ৫১ রান, অন্যপ্রান্তে শ্রেয়াস চার বল কম মোকাবিলা করেই করেছেন ৫৮ রান। মজার ব্যাপার, দু’জনেই হাঁকিয়েছেন সমান পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কা – দারুণ মিল বটে!
পাওয়ার প্লেতে ভাল করতে পারলেও মাঝের ওভারে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল প্যাট কামিন্সের দল। অল্প ব্যবধানে দুই ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে খানিকটা আশার সঞ্চার ঘটিয়েছিল তাঁরা, যদিও সেই আশা নিমিষেই শেষ হয়ে গিয়েছে আইয়ার জুটির সুবাদে। বাইশ গজে এসেই মোমেন্টাম নিজেদের করে নিয়েছিলেন তাঁরা।
অবশ্য শুরুতে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেছেন ভেঙ্কটেশ, নিজের খেলা প্রথম ১৯ বল থেকেই ৩৮ রান আদায় করেছিলেন তিনি। সেসময়টায় রাইডার্স অধিনায়ক কিছুটা রয়েসয়ে খেলেছিলেন, উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন। এরপর সময় গড়াতে তিনিও হাত খুলে খেলেছেন। ট্রাভিস হেডের চার থেকে বাইশ রান তোলার মাধ্যমে এই ডানহাতিই দলের জয় নিশ্চিত করেন।
২০২১ সালে সবশেষ আইপিএলের ফাইনাল খেলেছিল শাহরুখ খানের ফ্রাঞ্চাইজি। যদিও সেবার চেন্নাই সুপার কিংসকে টপকে শিরোপা জেতা হয়নি। এবার কি সেই অপূর্ণতা পূরণ করতে পারবে তাঁরা, উত্তরটা ইতিবাচক করতে হলে কোয়ালিফায়ারের মতই দায়িত্ব নিয়ে পারফরম করতে হবে আইয়ার আর তাঁর দলকে।